নব্বইয়ের দশকে ভারতের বিখ্যাত টিভি সিরিয়াল ছিল ‘শক্তিমান’। সেই সময়ের শিশু-কিশোরদের স্মৃতির পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছিল ‘শক্তিমান’ চরিত্রটি। এবার ভারতের প্রথম সুপারহিরো ‘শক্তিমান’ আসছে বড় পর্দায়।
ব্রুইং থটস প্রাইভেট লিমিটেড ও মুকেশ খান্নার ভীশম ইন্টারন্যাশনাল-র যৌথ উদ্যোগে সনি পিকচার্স পর্দায় নিয়ে আসছে এই সুপারহিরোকে। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সনি পিকচার্স ইন্ডিয়ার টুইটার পেজে ভিডিও টিজার প্রকাশের মাধ্যমে এই সিনেমার ঘোষণা দেয়া হয়।
১৯৯৭ সালে ভারতীয় দূরদর্শন চ্যানেল-এ ‘শক্তিমান’ সম্প্রচার শুরু হয়। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন মুকেশ খান্না। এই টিভি সিরিয়াল ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশের বিটিভিতেও দেখানো শুরু হয়েছিল। প্রতি রোববার টিভির সামনে বসে পড়তো শিশু-কিশোর-বড়রা। কিন্তু কয়েক পর্ব দেখিয়ে হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়া হয় এর সম্প্রচার।
পুরোনো স্মৃতি একটু ঝালিয়ে নেয়া যাক। সুপারম্যানের মতোই শক্তিমানের দুই রূপ। একটা ভোলাভালা গঙ্গাধর বিদ্যাধর মায়াধর ওঁকারনাথ শাস্ত্রী এবং অপরটি বুদ্ধি ও শক্তির অবয়ব শক্তিমান। নায়িকার নাম ছিল গীতা বিশ্বাস। ভিলেনদের মধ্যে বিজ্ঞানী জ্যাকল, কাপালা, কষ্টক, সাহাব, ইলেকট্রিকম্যান, রেডিয়েশনম্যান, শয়তানি বিল্লি, ডাইনি তিমিরা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
সর্বশ্রেষ্ঠ ভিলেন ছিল অন্ধকারের রাজা তমরাজ কিলবিস। পাঁচ হাজার বছর আগে ভারতবর্ষে এক ঋষির তৈরি শক্তিপুঞ্জ নামে একটি গোলককে নিয়ে ছিল মূল গল্প। এই গোলকে পৃথিবীর সকল শক্তি ধরে রাখা হয়েছিল। সেই শক্তিপুঞ্জের শক্তি ঐ ঋষির দুই শিষ্যের একজন দখল করে নিতে চাইলে যুদ্ধ শুরু হয়। এক পর্যায়ে শক্তি দুভাগ হয়ে খারাপ আর ভালো অংশে ছড়িয়ে পরে। আর এই ভালো অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন শক্তিমান।
মানুষকে পাপের পথ থেকে ফিরিয়ে এনে ন্যায় প্রতিষ্ঠার কাজ করেন শক্তিমান। মন্দের প্রনিধি কিলবিসকে ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্ধকার সাম্রাজ্যের পতন ঘটানোই ছিল তার উদ্দেশ্য।