সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন মাহি

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি তার স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপুর সাথে দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটাচ্ছিলেন। তবে বেশকিছু দিন যাবত নানা গুঞ্জনে শোনা যাচ্ছিলো আলাদা হচ্ছেন তারা ! ২৩মে দিবাগত রাতে মাহিয়া মাহি তার ফেসবুকের মাধ্যমে সেসব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে জানালেন, দীর্ঘ পাঁচ বছরের বৈবাহিক জীবনের ইতি টানছেন তিনি।

মাহিয়া লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর সব থেকে ভালো মানুষটির সাথে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্বশুর বাড়ির মানুষগুলো আর কাছ থেকে না দেখতে পাওয়াটা, বাবার মুখ থেকে মা জননী, বড় বাবার মুখ থেকে সুনামাই শোনার অধিকার হারিয়ে ফেলাটা সব থেকে বড় অপারগতা।’

তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে আরও লেখেন, ‘আমাকে মাফ করে দিও। তোমরা ভালো থেকো। আমি তোমাদের আজীবন মিস করবো।’

এটা কি বিচ্ছেদের সূচনা না অভিমান! তবে মাহিয়া মাহি বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরেই আলাদা থাকছেন। ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ে বোঝাপড়া না হওয়ায় সম্প্রতি তাঁরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে প্রথম আলোকে মাহির স্বামী পারভেজ জানান, ‘ছয় মাস ধরে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়ায় সমস্যা হচ্ছিল। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমার আর মাহির পরিবার মিলে বিচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছি। শিগগিরই আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হবে। ছয় মাস ধরে আমরা চূড়ান্ত চেষ্টা করেছি বিচ্ছেদটা ঠেকানোর, কিন্তু পারিনি। দুজনেরই চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। আন্তরিকতার খামতি ছিল না। ওর পরিবার আর আমার পরিবারের মধ্যেও একটা চমৎকার উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তারপরও দুজনের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়াটা সম্ভব হচ্ছে না। দুজন মিলেই পরিবারের সবার সঙ্গে আলাপ করে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সম্পর্কের ইতি টানতে হলো। আমাদের এই সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে কেউ ভুল ব্যাখা করবেন না প্লিজ। মাহিকেও ভুল বুঝবেন না। সংসার না হতেই পারে, তাই বলে আমরা যেন কাউকে দোষারোপ না করি। আমরা বন্ধু ছিলাম, আছি, থাকব।’

২০১৬ সালে ২৫ মে সিলেটের ছেলে পারভেজের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামী এবং তার পরিবারের সাথে কাটানো আনন্দের মুহুর্তে গুলো বরাবরই তুলে ধরতে দেখা গেছে তাকে।

এমন আরো সংবাদ

সর্বশেষ বিনোদন