বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমনির সঙ্গে বোট ক্লাবে ঘটে যাওয়া ঘটনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন পরীর কস্টিউম ডিজাইনার জিমি। গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন পরীর সাথে তিনিও মারধরের শিকার হয়েছেন।
১৪ জুন সাভার থানায় মামলা করেন নায়িকা পরীমনি। মামলা দায়ের করার পরে ওই দিন বিকেলেই উত্তরা থেকে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকি অমিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
১৪ জুন রাতে গুলশানে অভিনেত্রীর বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে আসেন জিমি। তিনি পরীমনির সাথে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে কাজ করছেন। জিমি অভিযোগ করেছেন, নাসির উদ্দীন মাহমুদ গালাগালি করতে থাকলে তিনি যখন ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে মোবাইলের ক্যামেরা চালু করেন। তখন নাসির তাকেও গালাগাল করেন। ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। তার ফোনটিও ছুড়ে ফেলা হয়।
জিমি আরও বলেন, ‘ততক্ষণে আমার মোবাইলে ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও রেকর্ড হয়েছিল। তখন উনি (নাসির) ফোনটা হাতে নিয়ে আমাদের দু’জনকেই আক্রমণ করেছেন। এর মধ্যে আপির (পরীমনি) ফোনটা তার কাছে রেখে চলে আসি। ওরা ভেবেছে যে, ওই ফোনেই ভিডিওটা করেছি। ফোনটা উড়ায় ফেলে দিয়েছে।’
পরবর্তীতে তারা এক ওয়েটারের সাহায্যে ফোনটা উদ্ধার করেন। পরীমনিকে ধরে গাড়িতে তোলে বনানী থানায় নিয়ে যান।