২০১৭ সালে ‘জাস্টিস লিগ’ দেখে অনেকে নিরাশ হলেও নির্মাতা জ্যাক স্নাইডার পরিচালিত সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জাস্টিস লিগ স্নাইডার কাট’র ট্রেলার মুগ্ধ করেছে ডিসি ভক্তদের। সিনেমাটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে ডিসি ভক্তদের ব্যাপক আগ্রহ-উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া জাস্টিস লিগ’র নির্মাণ শুরু করেছিলেন জ্যাক স্নাইডার। প্রযোজক ছিলেন তার স্ত্রী দেবোরা। তবে, তাদের মেয়ের মৃত্যুর পরে পোস্ট-প্রোডাকশনের সময় বের হয়ে যান তারা। এরপর ছবিটির হাল ধরেন অ্যাভেঞ্জার্স সিনেমার পরিচালক জশ হিডেন।
তবে, সেই সিনেমাটিতে জশ যেসব পরিবর্তন এনেছিলেন তাতে হতাশ হয়েছিলেন ডিসি ভক্তরা। সমালোচনা হয় যে, সিনেমাটিতে ডিসি কমিকসকে বিকৃত করা হয়েছে ও ভিজ্যুয়াল ইফেক্টগুলোও বেশ অগোছালো।
নির্মাতা স্নাইডারের তৈরি ‘জাস্টিস লিগ’র জন্য ভক্তরা ওয়ার্নারমিডিয়াতে অনুরোধ জানাতে শুরু করেছিলেন। এমনকি ২০১৯ সালের অক্টোবরে এক দল ডিসি ভক্ত নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে একটি বিলবোর্ড কিনে তাতে এই অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
এরপরই নতুন সংস্করণে ‘জাস্টিস লিগ’ সাজানোর ঘোষণা দেন স্নাইডার।
স্নাইডার এক সাক্ষাত্কারে রয়টার্সকে বলেন, ‘ভক্তদের ছাড়া, ভক্তদের চাপ ছাড়া ও তাদের সার্বক্ষণিক উৎসাহ ছাড়া এই সিনেমার কোনো অস্তিত্ব থাকত না।’
গতকাল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এইচবিও ম্যাক্সে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। তবে, মুক্তির আগে বুধবারই ছবিটি টরেন্ট ও টেলিগ্রামে ফাঁস হয়েছিল। সিনেমার বেশ কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
‘জাস্টিস লিগ স্নাইডার কাট’ এ প্রথমবারের মতো বেশ কয়েকজন ডিসি কমিকস সুপারহিরোদের পর্দায় একত্রে দেখা যাবে।
সিনেমাটিতে অনেকগুলো চরিত্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে, যার মধ্যে সুপারম্যান, ব্যাটম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান, দ্য ফ্ল্যাশ, অ্যাকোয়াম্যান ও সাইবর্গ রয়েছে। এ ছাড়া, তাদের শত্রু স্টেপেনউলফের উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যাও সিনেমাতে পাওয়া যাবে।
তারকাদের মধ্যে সিনেমাটিতে ব্যাটম্যানের চরিত্রে বেন অ্যাফ্লেক, সুপারম্যান চরিত্রে হেনরি ক্যাভিল ও ওয়ান্ডার ওম্যানের চরিত্রে গাল গ্যাদোতকে দেখা যাবে।
২০১৭ সালের জাস্টিস লিগের তুলনায় এটি ইতোমধ্যেই বেশ ইতিবাচক রিভিউ পেয়েছে। রোটেন টমেটোসে ৭৭ শতাংশ পজিটিভ রিভিউ পেয়েছে ‘জাস্টিস লিগ স্নাইডার কাট’। অন্যদিকে ২০১৭ সালের জশ হিডেনের ‘জাস্টিস লিগ’ ৪০ শতাংশ পজিটিভ রিভিউ পেয়েছিল।
প্রযোজন দেবোরা স্নাইডার জানান, নতুন সিনেমাটি চার ঘণ্টার। তবে, ৩০ মিনিটের চারটি চ্যাপ্টারে বিভক্ত। ঘরে বসে দর্শকরা ৩০ মিনিটের একেকটি চ্যাপ্টারে সিনেমাটি দেখতে পাবেন।
তিনি বলেন, ‘দর্শকরা চাইলে একটানা চার ঘণ্টা বসে সিনেমাটি দেখতে পারেন অথবা বিরতি নিয়েও দেখতে পারেন।’