১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী এদেশে ইতিহাসের এক জঘন্যতম বর্বরতা চালায়। শেষ পর্যন্ত তাদের লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পর এবার এই ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানে নির্মিত হয়েছে বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র।
‘খেল খেল মেঁ’ নামের চলচ্চিত্রটি ১৯ নভেম্বর মুক্তি পাবে। পাকিস্তানি মিডিয়ার বরাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন জানায়, এই চলচ্চিত্রের কেন্দ্রে দুইটি প্রজন্ম। একটি প্রজন্ম বাংলাদেশির বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালিয়েছিলো। এরপর পাকিস্তানে বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মিথ্যাচার চালানো হয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম আসল সত্যটা জানতে চায়। চলচ্চিত্রে আছে এমনই কিছু শিক্ষার্থী, যারা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত।
‘খেল খেল মেঁ’ চলচ্চিত্রটির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল আলি ও বিলাল আব্বাস খান। এর গল্প লিখেছেন ফিজা আলি, মীর্জা ও নাবীল কুরেশি। আর পরিচালনায় আছেন দেশটির প্রশংসিত নির্মাতাদের একজন নাবীল কুরেশি।
গত ৩০ অক্টোবর ‘খেল খেল ম্যায়’ চলচ্চিত্রের টিজার প্রকাশিত হয়। এর শুরুতেই ছিলো এক বৃদ্ধের কণ্ঠে অনুতাপ, “আমরা বুঝতেই পারিনি একটা স্ফুলিঙ্গ একটা জঙ্গল শেষ করে দিতে পারে।’’ আর শেষটায় সজল আলি তার বন্ধুদের বলেন, “কেন আমরা প্রশ্ন করি না? কেন একটি মিথ্যাকে আমাদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে? কেউ কেন প্রশ্ন করে না, আসলেই সেই সময়ে কী হয়েছিলো? নাকি আমরা সেই চালের মধ্যে ফেঁসে গেছি, যা দুশমনরা চাইতো?’’
বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে প্রকৃত সত্য জানতে এই দেশে তার আসার ঘটনাও টিজারে দেখানো হয়। ‘খেল খেল মেঁ’ চলচ্চিত্রের বেশকিছু দৃশ্য ধারণ হয়েছে ঢাকাতে, যার বেশিরভাগই ড্রোনে নেয়া। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কাটিয়ে এই চলচ্চিত্র দিয়েই পাকিস্তানের বিনোদন কেন্দ্রগুলো আবারো খুলছে।
তবে বাংলাদেশে বিদেশি শিল্পীদের শুটিংয়ের জন্য অনুমতিপত্র নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানা গেছে। চলচ্চিত্র বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপসচিব মো: সাইফুল ইসলাম জানান, ‘খেল খেল ম্যায়’ চলচ্চিত্রটির বিষয়ে তিনি অবগত নন।