হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেলেন বিপ্লবী গ্রিক সুরকার মিকিস থিওডোরাকিস। গত ১ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে অ্যাথেন্সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মিকিস থিওডোরাকিস। তার পরিবার এক লিখিত বিবৃতিতে জানায়, নিজ দেশ গ্রিসেই তাকে সমাহিত করা হবে। থিওডোরাকিসের মৃত্যুতে দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিস।
১৯৬৭ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত হাজার হাজার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখে গ্রিসের জান্তা সরকার। আর থিওডোরাকিস তার কথা ও সুরে এই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। এ সময় বহু গ্রিকের কাছে প্রতিরোধের এক অন্য নাম হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আদর্শগত কারণে যখন তাকে নিষিদ্ধ ও অবরুদ্ধ করা হয়, তখন তার বিদ্রোহী গান জনগণকে হারানো স্বাধীনতার কথা মনে করিয়ে দিত। ১৯৭০ সালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে থিওডোরাকিস বলেন, “আমি দুটি শব্দের মধ্যে বাস করি, এক — পলিটিক্যাল, দুই — মিউজিক্যাল।“
থিওডোরাকিসের জনপ্রিয়তা নিয়ে অসংখ্য গল্পের মধ্যে একটি এরকম — অ্যাথেন্সের এক পুলিশ কর্মকর্তা একবার নিষিদ্ধ থিওডোরাকিসের গান গাইতে গাইতে দুলে দুলে হেঁটে যাচ্ছিল। দেখে বিস্মিত একজন বলেন, “অফিসার, আপনি থিওডোরাকিস গাইছেন!” এরপর থিওডোরাকিসের গান শোনার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
চলচ্চিত্রের আবহ সঙ্গীতের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত মিকিস থিওডোরাকিস। ‘জোবরা দ্য গ্রিক’ (১৯৬৪), ‘জেড’ (১৯৬৯) এবং ‘সারপিকো’ (১৯৭৩) চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি কনস্তানতিন কস্তা গাভ্রাস, জুল দাশিনের একাধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।