ভাটি অঞ্চলের চলচ্চিত্র ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’

ভাটি অঞ্চলের জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’।

বড় পর্দার কোনো তারকা ছাড়াই ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন মুহাম্মদ কাইয়ুম। তিনি বলেন, “এটি বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষের চিরকালীন জীবনসংগ্রামের আখ্যান। যেখানে আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, লোকজ ঐতিহ্য এবং বিরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে হাওরের জল ও কাদায় মাখা প্রান্তিক মানুষের গল্প বলা হয়েছে।“

চলচ্চিত্রটির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে পরিচালক জানান, চাষাবাদ ও অন্যান্য গৃহস্থালি কাজকর্ম করার বার্ষিক চুক্তিতে হাওরে যাচ্ছেন যুবক সুলতান। সেখানে অশীতিপর এক বৃদ্ধের সংসারে তার ঠাঁই হয়, যার একমাত্র কর্মক্ষম ছেলে আগের বছর হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ে মারা যায়।

সুলতান চরিত্রের অভিনেতা উজ্জ্বল কবির বলেন, “আড়াই বছরে ৬০ দিনের বেশি শুটিং করেছি আমরা। সেখানকার জীবনযাত্রা খুব কষ্টের, বছরের ৮ মাসই পানিতে থইথই। আমার চরিত্রটি হয়ে ওঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আনন্দ নিয়েই কাজটা করেছি। এমন একটি পাণ্ডুলিপি পাওয়া আমার অভিনয়জীবনের স্মরণীয় ঘটনা।“‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ চলচ্চিত্রে উজ্জ্বল ছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়িতা মহলানবিশ, উজ্জ্বল কবির, সুমি ইসলাম, সামিয়া আকতার, বাদল শহীদ, মাহমুদ আলম ও আবুল কালাম আজাদ। সঙ্গীত পরিচালনায় কলকাতার সাত্যকি ব্যানার্জি এবং চিত্রগ্রহণে আছেন মাজাহারুল রাজু।

জয়িতা বলেন, “এ ধরনের কাজে অনেক বাজেট দরকার। বাজেট সীমাবদ্ধতার ভেতর আমাদের পরিচালক কাজটা করেছেন। এটি একেবারেই বাংলাদেশের ছবি। শুধুই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের ছবি।“

পরিচালক কাইয়ুম জানান, ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ চলচ্চিত্রের সম্পাদনা, ডাবিং সহ ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন কালার কারেকশন চলছে। আগামী বছরের শুরুতেই চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে চান তিনি। বলেন, “হাওর ও বিল অঞ্চলে একেক মৌসুমে একেক রূপ থাকে। মানুষের জীবনযাত্রাও বদলে যায়। সেসব ধরতে চেয়েছি, ধরেছি। যে কারণে নানা মৌসুমে কাজ করেছি। সংগত কারণেই তাই এতটা সময় লেগে গেল।“

এমন আরো সংবাদ

সর্বশেষ বিনোদন