ব্রোঞ্জের প্রিন্সেস ডায়ানা

ভাস্কর্য উদ্বোধন করছেন ডায়ানার দুই ছেলে

প্রিন্সেস ডায়ানা শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। শিশুদের জীবনের মান উন্নয়নে দিনরাত কাজ করেছেন তিনি। তার সেই অঙ্গিকারকে এবার ভাস্কর্যে মূর্ত করা হলো। লন্ডনে ডায়ানার সাবেক বাড়ি কেনসিংটন প্রাসাদের ‘সানকেন’ বাগানে এমনই একটি অনিন্দ্য ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। ডায়ানার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি ১ জুলাই এই ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন বলে জানিয়েছে পিপল ডটকম

প্রিন্স ডায়ানার ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই ব্রোঞ্জ–ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। এক যৌথ বিবৃতিতে উইলিয়াম ও হ্যারি জানিয়েছেন, ‘আজ এই দিনে আমরা আমাদের মার ভালোবাসা, শক্তি ও চারিত্রিক গুণাবলি স্মরণ করছি—এসব গুণাবলি পৃথিবীর মঙ্গল করতে এবং অগণিত মানুষের জীবন বদলে দিতে তাকে সাহস যোগাতো।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা প্রতিদিন চাই তিনি যদি আমাদের সঙ্গে থাকতেন। তবে আমরা মনে করি এই ভাস্কর্য চিরদিন তার জীবন ও কাজের প্রতীক হয়ে থাকবে।’

ডায়ানার ব্রোঞ্জ-ভাস্কর্য

লাইফ–সাইজ ভাস্কর্যটিতে দেখা যাচ্ছে, প্রিন্সের ডায়ানা তিনটি শিশুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন। তার দুই পাশে দুই শিশু, পেছনে আরো একটি শিশু। শিশুদের প্রতি ডায়ানার আমৃত্যু ভালোবাসাকেই ভাস্কর্যটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সম্পূর্ণ ব্রোঞ্জের তৈরি ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন ইয়েন র‌্যাংক–ব্রডলি এবং বাগানটির নকশা করেছেন পিপ মরিসন। উল্লেখ্য, এই বাগানেই ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল তাদের এনগেজমেন্ট ঘোষণা করেছিলেন। ওই বছরই ভাস্কর্যটির কাজ শুরু হয়। শিগগিরই ভাস্কর্যটি দর্শনার্থীদের দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

কেনসিংটন প্রাসাদ ও ‘সানকেন গার্ডেন’

মহামারির কারণে ভাস্কর্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খুব বেশি মানুষকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। পরিবারের কিছু সদস্যের উপস্থিতিতেই উইলিয়াম ও হ্যারি ভাস্কর্যের পর্দা সরান। উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন এবং হ্যারির স্ত্রী মেগান—দুজনের কেউই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

প্রিন্সেস ডায়ানা

১৯৮১ সালে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিয়ে হয়। ১৯৮২ সালে প্রিন্স উইলিয়াম এবং ১৯৮৪ সালে প্রিন্স হ্যারির জন্ম হয়। ১৯৯২ সালে ডায়ানা–চার্লস আলাদাও হয়ে যান এবং ১৯৯৬ সালে তাদের আনুষ্ঠানিক বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের পর ডায়ানার রাজকীয় উপাধি ‘প্রিন্সেস অব ওয়েলস’ ফিরিয়ে নেয়া হয়। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অবশ্য চেয়েছিলেন উপাধিটা থাক, কিন্তু প্রিন্স চার্লস রাজি হননি। তারপরও পৃথবীর মানুষ এখনো তাকে প্রিন্সেস হিসেবেই জানে।

শিশুদের সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ানা

যাহোক, তারপর ১৯৯৭ সালে প্যারিসে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিন্সেস ডায়ানা নিহত হন। এখনো তিনি প্রাসঙ্গিক। তাকে নিয়ে এখনো নানা গল্প ও খবর হয়। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা পেয়েছিলেন এই মিষ্টি হাসির মানুষটি।

এমন আরো সংবাদ

সর্বশেষ বিনোদন