২০০৮ সালে পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স বিষণ্নতা ও অবসাদের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটরশিপ আইনের অধীনে আদালতের আদেশে ব্রিটনির বাবা জিমিকে ব্রিটনির সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার দেয়া হয়।
এই গায়িকার আর্থিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন তার বাবা (জিমি)। কিন্তু ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে ব্রিটনি জানান, এটা তার কাছে বন্দি থাকার মতো। যত দ্রুত সম্ভব এই ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চান।
তিনি আদালতে জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের বাবা জিমি তার জীবনযাত্রা ও আর্থিক সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। তবে এই তারকার দাবি, তার সম্পুর্ন ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ খেতে বাধ্য করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করতে ও আবার সন্তান নিতেও তাকে বাধা দেয়া হয়েছে। যার ফলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এই কনজারভেটরশিপ তার ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি করেছে। তাই এ থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন আদালতে।
এনবিবিসি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পপ তারকা ব্রিটনির আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। ফলে জিমিই তার অভিভাবক থাকছেন। আদালতের বক্তব্য, এখনো তিনি সম্পদ রক্ষা করতে যথেষ্ট সক্ষম নন।