আবদুর রহমান বয়াতির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বাউল উৎসবে গান গাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন বাউলশিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া। মেয়ে পুষ্প বেগমকে নিয়ে সেখানে হাজিরও হয়েছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠানে গান গাওয়া তো দূরের কথা, মঞ্চেই উঠতে পারলেন না তিনি।
দৈনিক প্রথম আলোকে পুষ্প বলেন, “অনেক আগে মায়ের পেটে একটা অপারেশন হয়েছিল। অপারেশনের সেই জায়গাটা হঠাৎ করেই ফুলে উঠেছে। প্রচণ্ড ব্যথায় অজ্ঞানের মতো হয়ে যান। তিন দিন ধরেই তার শারীরিক অবস্থা ভালো না। এর মধ্যেই গান গাওয়ার আমন্ত্রণ পান। কিন্তু অনুষ্ঠানস্থলে গিয়েও মা গাইতে পারলেন না। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেন, কিন্তু কোনো লাভ হলো না।’’
বাসায় খালি গলায়ও গাইতে পারছেন না সুফিয়া। পুষ্প বলেন, “এমনিতেই বয়স বাড়ছে। তার ওপর দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, হার্ট ও মস্তিষ্কের গুরুতর কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলোর ওষুধ নিয়মিত কিনতে না পেরে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ভালো চিকিৎসা হলে আবারও হয়তো তিনি গান গাইতে পারবেন। কিন্তু চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই।’’
‘কোনবা পথে নিতাইগঞ্জ যাই’, ‘বুড়ি হইলাম তোর কারণে’, ‘নারীর কাছে কেউ যায় না’, ‘আমার ভাটি গাঙের নাইয়া’ সহ জনপ্রিয় সব গানের শিল্পী কাঙালিনী সুফিয়ার জন্ম ১৯৬১ সালে। একসময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়মিত গেয়েছেন। তার গানের গুরু গৌর মহন্ত, দেবেন খ্যাপা ও হালিম বয়াতি। এই পর্যন্ত তিনি ৩০টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।