বিনামূল্যে কোথায় দেখবেন ‘শহরে টুকরো রোদ’?

রাজধানীর একটি ফাইভ স্টার হোটেলে ছদ্মবেশী নারীর আগমন। নারীর রহস্যময় আচরণ দৃষ্টি কেড়ে নেয় হোটেলের কর্মীরা। নারীর গতিবিধি নজরে রাখছে হোটেলের লোকজন। লোকজনের সন্দেহ বাড়তে থাকে, না চাইতেও তারা পুলিশকে সবটা খুলে বলেন।
কে এই ছদ্মবেশী নারী? কি তার পরিচয়? পুলিশ আসে এবং নিয়ম অনুযায়ী নারীকে  জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। উঠে আসে এক ভিন্ন চিত্র।
আন্দালিব করপোরেট জগতের প্রিয় মুখ। অফিস কলিগদের কাছে সে মডেল। কাজের প্রতি তার নিষ্ঠা ও ভালোবাসা সহকর্মীদের অনুপ্রেরণা যোগায়। কিন্তু আন্দালিবের রোজকারের এই যান্ত্রিক জীবনে একঘেয়েমি লাগতে শুরু করে। এই ব্যস্ত শহরের কোলাহল ছেড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে বড্ড ইচ্ছে করে তার। সবটা চাইলেই কি সম্ভব? মানুষের সব ইচ্ছে পূরণ হওয়ার নয়। এক বন্ধুর কথায় আবারো আন্দালিব ফিরে যেতে চায় চিঠির যুগে। ২১ বছরের বেশি সময় ধরে চিঠি লেখা হয় না তার। এখন চিঠি লেখার প্রয়োজন হয় না। কৌতূলবশত আন্দালিব পোস্ট অফিসে যায়। সেখান থেকে বেশকিছু কোথাও না পৌঁছানো চিঠি সংগ্রহ করে সে, শুরুতে সহজ না হলেও পরবর্তীতে সে চিঠিগুলো সংগ্রহ করতে সফল হয়। চিঠির ভিতরে থাকা গল্পগুলো আন্দালিবের জীবনকে নাড়া দেয়। ক্রমেই আন্দালিবের জীবনে নতুন মাত্রা যোগ হতে থাকে।

‘শহরে টুকরো রোদ’ টেলিফিল্মটি শাহাদুজ্জামানের ‘মামলার সাক্ষী ময়না পাখি’ বই থেকে সংগৃহীত। এই বইটিতে দুটি গল্প রয়েছে, একটি ‘উবার’ আরেকটি ‘টুকরো রোদের মতো খাম’। অনেকেরই ধারণা ছিল দুটো গল্পকে এক করে একটি চিত্রনাট্য করা হয়েছে। তবে পরিচালক নূর ইমরান মিঠু আলাদা করে দিয়েছেন গল্পকে। টেলিফিল্মের প্রথম গল্পের নাম ‘শহর’ দ্বিতীয় বা শেষ গল্পের নাম ‘টুকরো রোদ’। আলাদা হলেও দুটি গল্পের মধ্যে যোগ আছে, এমনটা ভাবারও কারণ নেই। ক্রমবর্ধমান শহরে মানুষের জীবনের নানা দিক দুটো গল্পেই আছে, তারপরও শহর ও টুকরো রোদ গল্পের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

টেলিফিল্মটি দেখে আরমান আহমেদ নামে একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিখেছেন, ‘…পুরোপুরি হতাশ হলাম, গল্পের মূল থিম কি সেটাই বুঝিনি।’

শাকিল নামে একজন লিখেছেন, ‘শব্দের তারতম্যহীনতা অনেক সময় ডায়ালগই ভালোভাবে শোনা যায়নি। বাংলা নাটকে এসব প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু এই টেলিফিল্মের শব্দগ্রহণের কাজে এমন দৃষ্টিকটূ ব্যাপার দেখা যায়নি। বরং খুব ভালোভাবে শব্দগ্রহণের কাজের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়েছে।’

টেলিফিল্মটি ঈদের প্রথম দিন চ্যানেল নাইনে দুপুর ২টায়, বিকাল সাড়ে ৪টায় দীপ্ত টিভিতে এবং রাত ৯টা ২০ মিনিটে একুশে টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।

টেলিফিল্মটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ বড়ুয়া, বাঁধন প্রমুখ। আগ্রহীরা চাইলে বঙ্গবিডিতে বিনামূল্য টেলিফিল্মটি উপভোগ করতে পারেন।

এমন আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ বিনোদন