১৬২৭ সাল থেকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিলো পূর্ব ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র বার্বাডোজ। ১৯৬১ সালে দেশটি স্বাধীনতা পেলেও সাংবিধানিকভাবে দেশটির হর্তাকর্তা ছিলো ব্রিটিশ রাজপরিবারই। অবশেষে গত ৩০ নভেম্বর ব্রিটিশ কমনওয়েলথ রাষ্ট্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজাতন্ত্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বার্বাডোজের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন সান্দ্রা মাসুন। আর এই উদ্যাপনের দিনই দেশটির সবচেয়ে বিখ্যাত নাগরিক গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী কণ্ঠশিল্পী রিহানাকে ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ। বার্বাডোজের রাজধানী ব্রিজটাউনে প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি এই ঘোষণা দেন।
রিহানাকে অভিবাদন জানাতে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়, আর তিনি সেখানে হাজিরও হন। ২০১২ সালের টপ চার্টের শীর্ষে থাকা রিহানার গান ‘ডায়মন্ডস’-এর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মটলি বলেন, “আপনি হীরার মতো দ্যুতি ছড়াতে থাকুন। আর আপনার কাজ দিয়ে জাতির জন্য আরও সম্মান বয়ে আনুন।’’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, রিয়ানা বার্বাডোজের ‘জাতীয় বীর’ উপাধিতে ভূষিত দ্বিতীয় নারী। এর আগে ধর্মপ্রচারক সারা অ্যান গিলকে এই উপাধি দেওয়া হয়েছিলো। ১৮৬৬ সালে তিনি মারা যান। রিয়ানা ছাড়া এই উপাধিতে ভূষিত আর একজনই বেঁচে আছেন, তিনি হলেন ৮৫ বছর বয়সী কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার গারফিল্ড।
২০১৯ সালে রিয়ানাকে নারী সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে শীর্ষ ধনী ঘোষণা করে ফোর্বস। তখন তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিলিয়নিয়ার ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এই সম্পদের বেশির ভাগই এসেছে তার ফেন্টি বিউটি কসমেটিকস ব্র্যান্ড থেকে।