গান করার হওয়ার পাশাপাশি একজন বেশ সফল লেখকও অনুপম রায়। তার গানের শ্রোতার সংখ্যা যেমন কমতি নেই, তেমনি তার লেখনিতেও মুগ্ধ পাঠকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার অনেক আগেই লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অনুপম রায়।
এবারের কলকাতার বইমেলায় ‘ম্যাকি’ নামে নতুন একটি বই এনেছেন অনুপম। মানবজাতির আবেগ-অনুভূতিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রভাব নিয়ে লেখা অনুপমের এবারের বইটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর খবর অনুযায়ী, ২০১১ সালে লেখক হিসেবে অনুপমের প্রথম আত্মপ্রকাশ কবিতার বই দিয়ে। ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কণ্ঠশিল্পীর লেখা বইয়ের সংখ্যা এখন আট। ‘আমাদের বেঁচে থাকা’, ‘সময়ের বাইরে’, ‘নিজের শব্দে কাজ করো’, ‘অনুপম কথা’, ‘মন ও মেজাজ’, ‘ছোঁয়াচে কলম’, ‘অ্যান্টনি ও চন্দ্রবিন্দু’র পর তালিকায় নয়া সংযোজন ‘ম্যাকি’।
কিভাবে লেখক থেকে কণ্ঠশিল্পী হয়ে ওঠা অনুপমের? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গান গাওয়ার বহু আগে থেকেই লেখালেখি করার অভ্যেস রয়েছে। লিটল ম্যাগাজিনেও আমার লেখা বেরিয়েছে এবং আমার প্রথম গান রিলিজ করার আগেই ‘কৌরব’ বলে একটা ম্যাগাজিনে লেখা বেরিয়েছিল। সেটা ছিল একটা মুক্ত গদ্য। তাই গানের পাশাপাশি সমান্তরালভাবে লেখালেখিও জারি রেখেছি। যদিও বর্তমানে আমি খুব একটা সময় পাই না।”
‘ম্যাকি’ প্রসঙ্গে অনুপম গণমাধ্যমকে বলেছেন, “এই বইটার মূল বিষয়টাই হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বনাম হিউম্যানিটি। আমার ব্যক্তিগত ম্যাকবুক থেকেই আসলে ‘ম্যাকি’র ভাবনা। ওই যন্ত্রের মাধ্যমেই লেখা। যেনো সে নিজেই মানুষের সঙ্গে কথা বলছে। দিন যত যাচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আরও শক্তিশালী হচ্ছে এবং ক্রমেই তারা মানুষকে নিজের দাস বানিয়ে ফেলছে। যেন আগামী দিনে যন্ত্রই মনুষ্য সাম্রাজ্যের ওপর আধিপত্য বিস্তার করবে, সেটাই ম্যাকির বক্তব্য।”
উল্লেখ্য, ডাকবাংলা ডটকম-এ অনুপমের নিয়মিত যে কলামটি প্রকাশ পেয়েছে তার প্রথম ১০টি লেখা নিয়ে কলকাতা বইমেলায় মুক্তি পেয়েছে ‘ম্যাকি’। এই বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন উপল সেনগুপ্ত। বইটি প্রকাশিত হয়েছে দে’জ ও ডাকবাংলার যৌথ উদ্যোগে।