২৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পেয়েছে হরর চলচ্চিত্র ‘ক্যান্ডিম্যান’।
নতুন এই ‘ক্যান্ডিম্যান’ চলচ্চিত্রটি ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া টনি টড অভিনীত ‘ক্যান্ডিম্যান’ চলচ্চিত্রের সিকুয়েল। তবে প্রথম চলচ্চিত্রটি যেখানে হাড়কাঁপানো হররভিত্তিক এক অভিজ্ঞতা ছিলো, নতুন ‘ক্যান্ডিম্যান’ চলচ্চিত্রে হররের মোড়কে এসেছে বর্ণবাদও। মুক্তির প্রথমদিনই চলচ্চিত্রটি সাড়ে ২২ মিলিয়ন ডলার আয় করে।
১৯৯২ সালের চলচ্চিত্রে শিকাগোর ক্যাব্রিনি-গ্রিন হাউজিং প্রকল্পে হত্যাযজ্ঞ চালায় ভৌতিক ‘ক্যান্ডিম্যান’। ক্যান্ডিম্যানের এক হাতের বদলে আছে হুক, আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পাঁচবার তার নাম উচ্চারণ করলেই তার হাতে মরতে হয়। আর নতুন চলচ্চিত্রটিতে দেখা যায়, অনেকটা পালটে যাওয়া সেই ক্যাব্রিনি-গ্রিন হাউজিংয়ের এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে এসে ওঠে শিল্পী অ্যান্থনি ম্যাকয় আর তার প্রেমিকা গ্যালারি পরিচালক ব্রায়ানা। পরের প্রদর্শনীর উপস্থাপন কেমন হবে, তা নিয়ে চিন্তিত অ্যান্থনিকে ক্যান্ডিম্যান কিংবদন্তির গল্প শোনায় ব্রায়ানার ভাই। আর ক্রমান্বয়ে ওই এলাকার ইতিহাসে কালো চামড়ার মানুষের প্রতি সহিংসতার কথাও জানতে পারে অ্যান্থনি। একের পর এক অনুসন্ধানে অদ্ভুত এক রহস্যের গভীরে তলিয়ে যেতে থাকে সে, যাতে হুমকির মুখে পড়ে তার মানসিক সুস্থতাও।
হলিউডে বর্ণবাদের বিষয়টি সম্প্রতি চলচ্চিত্র এবং টিভি সিরিজ অঙ্গনে আরও গুরুত্ব দিয়ে তুলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন কিছু উদাহরণ হলো ‘গেট আউট’, ‘আস’, ‘লাভক্রাফট কানট্রি’, ‘অ্যান্টেবেলাম’-এর মতো চলচ্চিত্র আর অ্যামাজন সিরিজ ‘দেম’।
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর ২০২০ সালের জুনেই ‘ক্যান্ডিম্যান’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা আটকে যায়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াহিয়া আবদুল মাতিন, টেয়োনা প্যারিস ও ন্যাথান স্টুয়ার্ট জ্যারেট।