১৯৯৭ তে মারা যায় বৃটিশ পরিবারের বউ প্রিন্সেস ডায়ানা। রেখে যান ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিকে। প্রিন্স হ্যারির বয়স ছিল ১২।
মায়ের মৃত্যু তাঁকে নাড়া দিয়েছিল। অ্যাপল টিভি+ ডকুসিরিজে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,“আটাশ থেকে বত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সময়। যত বারই আমি ক্যামেরা দেখতাম সাথে সাথেই গাড়িতে উঠে পড়তাম। আমি মদ্যপানে ও নেশায় বুদ হয়ে থাকতেই চেয়েছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমি যা অনুভব করতে চেয়েছি তারচেয়ে অনেক কম মনে হত, তাই আরও বেশি অনুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু ক্রমান্বয়ে আমি বুঝতে পারি। আমি মদ-পান করতাম এই জন্য নয় যে আমি নিজেকে উপভোগ করছি, বরং আমি আমাকে মাস্ক(ঢেকে রাখার) করার চেষ্টা করতাম।”
তাঁর স্ত্রী হলিউড সেলিব্রেটি মেগান মার্কেল তাঁর এই দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্ত হতে অনেকাংশে সহায়তা করেছেন।
হ্যারি স্বীকার করেন যে তাঁর থেরাপীর সময়টা হল একটি “শিক্ষামূলক সফর”। তিনি মনে করেন তাঁর এই কঠিন জীবনযাপন থেকে বেরিয়ে আসতে পিতা প্রিন্স চার্লস ও স্ত্রীর অনেক অবদান রয়েছে ।
উল্লেখ্য, প্রিন্স হ্যারি ২০১৮ সালে দ্যা স্যুইট টিভি সিরিজ-খ্যাত অভিনেত্রী মেঘান মার্কেলের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তিনি যোগ করেন, “ আমি দ্রুতই বুঝতে পারলাম যে যদি এই সম্পর্ক (মেঘান-র সঙ্গে) টিকিয়ে রাখতে হয়, তাহলে আমাকে আমার অতীতের সাথে বোঝাপড়া করতে হবে। কারণ আমার রাগ ছিল, তবে এই রাগ তার (মেঘানের) সাথে নয় এবং সে তা বুঝতে পেরেছিলো, সে দেখেছিলো।”
প্রিন্স হ্যারি ও মেঘান মার্কেলের ঘর আলোকিত করে আছে তাদের ২ বছর বয়সী সন্তান আরচী। তারা সম্প্রতি তাদের দ্বিতীয় সন্তান আগমনের ঘোষনা দিয়েছেন। হ্যারী চান রাজকীয় পরিবারের ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।