কান চলচ্চিত্র উৎসবে ৭ জুলাই ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর প্রিমিয়ার ছিল দুবুসি অডিটোরিয়ামে। প্রিমিয়ার শেষে করতালিতে মূখর ছিল পরিবেশ। এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
প্রিমিয়ার প্রসঙ্গে আজমেরী হক বাঁধন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকাল রাতেও আমরা হোটেলে বসে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। বাংলাদেশের ছবি কে দেখতে আসবে? কারণ, বাংলাদেশ বা আমাদের সিনেমা এখানকার ক’জন মানুষইবা চেনে। খবর নিয়েছি হলটাও অনেক বড়। ১ হাজার আসন! আমাদের ধারণা ছিল শ’খানেক মানুষ আসবে! কিন্তু সকল ধারণা ভুল প্রমাণ হলো। জনসমুদ্র পেলাম ছবি শুরুর আগেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুটিংয়ের পর আমি প্রথম ছবিটি দেখলাম। ফলে এই দেখাটা আমার জন্য আরও অন্যরকম আনন্দ আর বেদনার। কারণ, পর্দায় ছড়িয়ে থাকা রেহানার বেদনাটি আমাকেও ঘিরে ধরেছিল। কিন্তু ছবি শেষ হওয়ার পর সবার এভাবে দাঁড়িয়ে যাওয়া, আমাদের দিকে তাকিয়ে ননস্টপ করতালি দেওয়া- এসব দেখে আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। টানা কতক্ষণ করতালি চলেছে সেটার হিসাব না জানলেও, এত দীর্ঘ মুহুমুর্হু করতালি আমি আর শুনিনি।’
৭ জুলাই বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ এর প্রিমিয়ার হয়। স্থির চিত্র গুলোতে দেখা যায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাঁধন। সকলের প্রশংসা ও করতালিতে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন।
ছবি শেষ করে বাঁধন উপস্থিত সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
চলচ্চিত্রটির এই অর্জনে গৌরবান্বিত হয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের জন্য বড় অর্জন। কান উৎসবে এসে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পেরেছি এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এখানে সবাই এত প্রশংসা করছে আমাদের, বাংলাদেশের ছবি নিয়ে আশাবাদ জানিয়েছে, এগুলো শুনলে বুকটা ভরে ওঠে।’
এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো ছবি কান উৎসবে অফিসিয়াল সিলেকশনের আঁ সার্তে রিগায় স্থান পেয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ফলাফলের। ১৬ জুলাই আঁ সার্তে রিগা বিভাগের ‘বেস্ট পারফরম্যান্স’ স্বীকৃতি হিসেবে ঘোষণা আসবে কি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’র?