রাজধানীরর বিভিন্ন বারে ও সামাজিক ক্লাবগুলো থেকে নিষিদ্ধ হলেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। সাম্প্রতিক সময়ে তার বিভিন্ন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সামাজিক ক্লাবগুলোর কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে পরীমনিকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে।
শুধু তাই নয়, পরীমনি কিংবা তার মত কাউকে ক্লাবে নিয়ে গেলে ক্লাবের সেই সদস্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল করা হবে। বার ও ক্লাবগুলোর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী ও প্রদর্শকরা। তারা বলেন, ‘ব্যক্তি বিশেষের দায়ভার কোনোভাবেই পুরো চলচ্চিত্র জগত নিতে পারে না। পরীমনি বাংলাদেশের সিনেমার বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করেছেন। নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছেন চলচ্চিত্র জগত সম্পর্কে। তার কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অন্য অভিনেত্রীরাও।’
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, পরিমনির মদ খেয়ে গুলশান ক্লাবে ভাঙচুরের ভিডিও। পুলিশ গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুর ও মাতলামির সকল সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছেন। তাদের হাতে রয়েছে বোট ক্লাবের ফুটেজগুলোও। প্রয়োজনে পুলিশ পরীমনি ও তার সঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারে।
এর আগে নায়ক জায়েদ খান গণমাধ্যমে পরীমনি কাণ্ডে বলেন, ‘শিল্পীদের দেখে মানুষ শেখে এবং শিল্পীরা সমাজের বিবেক। আমাদের দেখে মানুষ চুল কাটে, আমাদের ফলো করে।…এমন সব কার্যক্রমের জড়িত থাকবো না, যাতে মানুষ আমাদের দিকে আঙুল তুলতে পারে এবং মানুষ যেনো আমাদের দেখে শিখে। এমন কোন কার্যক্রম, এমন কোনো কোথাও যাবো না, যাতে শিল্পী সমিতি লজ্জিত হবে বা শিল্পী হিসেবে আমরা লজ্জিত বোধ করবো।’