গত ১০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বলিউড তারকা আয়ুষ্মান খুরানা ও বাণী কাপুর অভিনীত চলচ্চিত্র ‘চণ্ডীগড় কারে আশিকী’। এতে আয়ুষ্মান অভিনয় করেন চণ্ডীগড়ের উদীয়মান ভারোত্তোলক ‘মানু’ চরিত্রে, আর তার প্রেমিকা ‘মানবী’র ভূমিকায় আছেন বাণী। চলচ্চিত্রে বাণীর চরিত্রটি ট্রান্সজেন্ডার, অর্থাৎ সে লিঙ্গ বদলে পুরুষ থেকে নারী হয়েছে। এমন সামাজিক বার্তার কারণে চলচ্চিত্রটি যেমন ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে, তেমনি এই চরিত্রে বাস্তবে ট্রান্সজেন্ডার কোনো অভিনেত্রীর বদলে বাণীকে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন নির্মাতা অভিষেক কাপুর।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই চরিত্রে ট্রান্সজেন্ডার অভিনেত্রীকে না রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেন। জানান, মূলধারার দর্শকদের কাছে সহজে চলচ্চিত্রের বার্তা পৌঁছাতেই তার এই সিদ্ধান্ত।
অভিষেক বলেন, “আমাদের অনেক ভাবনার মাঝে ট্রান্সজেন্ডার কাউকে রাখার কথাও ছিল। কিন্তু অভিনয়শিল্পী দিয়ে কেন সব বিচার করা হবে? একজন ট্রান্সজেন্ডার মানুষ কি চলচ্চিত্র লিখতে বা পরিচালনা করতে পারে না? অভিনয়শিল্পীরা চলচ্চিত্র বানান না, বানান নির্মাতা আর লেখকেরা। চরিত্রে হয়তো একজন অভিনয়শিল্পী থাকেন, কিন্তু এরও উপরে থাকে একটি গল্প। এই গল্প নিয়েই মানুষের কাছে পৌঁছতে হয়, তাদের ভাষায় কথা বলতে হয়। আর তার জন্য আমার মনে হয়েছে এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।”
অভিষেকের মতে, এলজিবিটিকিউ লৈঙ্গিক পরিচয়ের মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার কিছুটা হলেও আলাদা। তিনি বলেন, “ট্রান্স কমিউনিটির পরিচয় যৌন আকর্ষণের ভিত্তিতে নয়, সম্পূর্ণ আলাদা। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নিজের ভেতরকার অপরিসীম সংগ্রাম। আর যখন আমি এই বিষয়ে গবেষণা শুরু করি, আমি দেখতে পাই এটা বোঝাটাও মানুষের জন্য কত কঠিন।“
আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে এযাবৎ প্রায় ৩২ কোটি রুপি আয় করেছে ‘চণ্ডীগড় কারে আশিকী’।