‘জয়া প্রকৃত শিল্পী। জাত শিল্পী। কারণ, নামে শিল্পী হলেই শিল্পী হয় না। শিল্পী সবাই হতে পারে না। সত্যিকারের শিল্পী হতে হলে মন বড় হতে হয়, ভালো ব্যবহার করতে হয়, বিনয়ী হতে হয়, সম্মান দিতে জানতে হয়।’ দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা জয়া আহসানকে নিয়ে এ কথাগুলো নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। আজ ১ জুলাই অভিনেত্রী জয়া আহসানের জন্মদিন উপলক্ষেই এই প্রশংসা।
জয়া আহসানের শুরুটা হয়েছিল টেলিভিশন দিয়ে। ধারাবাহিক নাটক, একক নাটক, বিজ্ঞাপন—তারপর চলচ্চিত্র, সকল ক্ষেত্রেই তিনি নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন একাগ্রতা ও সাধনা দিয়ে। শুধু বাংলাদেশ নয়, জয়ার জয়জয়কার এখন ওপার বাংলাতেও।
২০০৪ সালে ‘ব্যাচেলের’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় জয়ার। এরপর করেছেন ‘গেরিলা’, ‘চোরাবালি’, ‘জিরো ডিগ্রি’, ‘ডুবসাতার’, ‘দেবী’র মতো সিনেমা। এছাড়াও ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ এবং ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী ২’-এর মতো বেশকিছু বাণিজ্যিক সিনেমাও করেছেন তিনি।
এরপর ভারতীয় সিনেমায় পা রাখেন ‘দেবী’খ্যাত জয়া। ২০১৩ সালে কলকাতার অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘আবর্ত’ সিনেমা দিয়ে শুরু। এরপর ‘রাজকাহিনি’, ‘ঈগলের চোখ’, ‘ভালোবাসার শহর’, ‘বিসর্জন’, ‘ক্রিসক্রস’, ‘বিজয়া’, ‘কণ্ঠ’, ‘রবিবার’-এর মতো আলোচিত সিনেমাতে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এসব সিনেমার মাধ্যমে জয়া ঈর্ষণীয়ভাবে সফল। এখন তিনি সেখানেও শীর্ষস্থানে আছেন।
২০১৯ সালের ‘বিজয়া’ ও ‘রবিবার’-এর জন্য জয়া ভারতের ফিল্মফেয়ারে (বাংলা) সমালোচকের বিচারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৮ সালেও সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জয়া আহসান এ পুরস্কার পান ‘বিসর্জন’ সিনেমার জন্য। তাছাড়াও তিনি চার বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুই বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার এবং সাত বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেছেন।
জয়ার জন্ম গোপালগঞ্জ জেলায়। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ এবং মা রেহানা মাসউদ। মা ছিলেন একজন শিক্ষিক। জয়ারা তিন ভাইবোন। ছোটবেলা থেকেই জয়া নাচ ও গানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
চিত্রনায়িকার জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। তাকে নিয়ে নিজেদের ভালোলাগা প্রকাশ করেছেন নির্মাতা, অভিনেত্রী, অভিনেতা সেই সাথে অগণিত ভক্ত-অনুরাগীরা। থ্রিসিক্সটি বিনোদন পরিবারের পক্ষ থেকেও শুভেচ্ছা রইল।