তারকাদের হাসির পেছনেও কান্না থাকে। তাদের আলোর পেছনেও থাকে অন্ধকার। তারাও রক্ত-মাংসের মানুষ। তাদেরও পরিশ্রম করতে হয়। সম্প্রতি নিজের সফলতা ও ব্যর্থতার গল্প শোনালেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
হলিউডে অভিষেক হওয়ার আগেই বলিউডে নিজের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সিনেমার পাশাপাশি টেলিভিশন শোতেও কাজ করেছেন। বর্তমানে এই অভিনেত্রীর হাতে রয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। তার মধ্যে একটি অ্যামাজন প্রাইমের মিনি-সিরিজ ‘সিটাডেল’। এই সিরিজে তার বিপরীতে কাজ করছেন স্কটিশ অভিনেতা রিচার্ড ম্যাডেন। আর অল্পদিনের মধ্যেই আসবে ‘ম্যাট্রিক্স-৪’ ও ‘দ্য টেক্সট ফর ইউ’।
ভোগ অস্ট্রেলিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, ‘সবাই সবসময় জেতে না। আমি অনেক ছবি করেছি যেগুলো কেউ দেখতো না। ব্যর্থ হওয়ার পর তুমি কি করো সেটাই আসল। আমার জন্য জীবন একটা সিঁড়ি, কখনোই কোনো গন্তব্য নয়।’ তিনি আরো বলেন, তিনি নিজেও বারবার হেরেছেন। এশীয়দের ছোট থেকেই শেখানো হয় যে আশেপাশে যারা আছে তাদের সবার থেকে আরো জোরে দৌড়াতে হবে। তবে নিজের মতো করে লড়ে তিনি আজ ঈর্ষনীয় সফল।
নিজেকে তিনি মূলধারার সিনেমার শীর্ষস্থানে দেখতে চেয়েছিলেন। আরো অনেক ভাবে নিজেকে দেখতে চেয়েছিলেন যার জন্য ১০ বছর কাজ করার প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন তিনি। তারপরই তিনি আজকের এই অবস্থানে এসেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দক্ষিণ এশিয়া থেকে পরবর্তী প্রতিভা পেতে এখন আর ১০ বছরও লাগবে না। তার মতে, দায়িত্বই এক সময় মানুষকে গোলপোস্টের কাছে নিয়ে যায়।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও পালিয়ে বেড়াতে দেখা যায়নি হোয়াইট টাইগারের এই অভিনেত্রীকে। করোনা পরিস্থিতিতে তিনি ও তার বর বিশ্বখ্যাত সংগীতশিল্পী নিক জোনাস মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বারবার।