জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এর জন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র মিলিয়ে মাত্র ২৭টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে।
পুরস্কারের জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত জমা পড়ে ১৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৬টি প্রামাণ্যচিত্র। সাম্প্রতিককালে জাতীয় পুরস্কারের জন্য এত কম চলচ্চিত্র আগে জমা পড়েনি। এর মধ্য থেকেই এ বছর ২৮টি বিভাগে চলচ্চিত্র ও কলাকুশলীদের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সচিব মো. মমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, “গতবারের চেয়ে এবার সিনেমা ও প্রামাণ্যচিত্র কম জমা পড়েছে। কারণ, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা কম।“ ২০১৯ সালে পুরস্কারের জন্য ২৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ১১টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৩টি প্রামাণ্যচিত্র — মোট ৪৩টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল।
জমা পড়া চলচ্চিত্রগুলো থেকে বাছাই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জুরি বোর্ড সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। দু চারদিনের মধ্যে তারা মিটিং ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।“
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ এর জন্য জমা পড়া চলচ্চিত্রগুলো হল:
১৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে – বীর, শাহেনশাহ, ঊনপঞ্চাশ বাতাস, গোর, বিশ্বসুন্দরী, একজন মহান নেতা, হলুদ বনি, গণ্ডি, রূপসা নদীর বাঁকে, আমার মা, চল যাই, জয় নগরের জমিদার, সূবর্ণরেখা ও হৃদয় জুড়ে।
৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে আছে– কোথায় পাব তারে, আতর, সাদা গোলাপ, ফেরা, আড়ং, দ্য স্কায়ার্স ও আমার বাবার নাম।
৬টি প্রামাণ্যচিত্রের মধ্যে আছে– স্বাধীনতার ডাকটিকিট, রথযাত্রার বাকি ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বায়োগ্রাফি অব নজরুল, দ্য ফ্রন্ট পিয়ার্সম্যান ফজলুল হক ও নীলমুকুট।