চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেনের আজ জন্মদিন

আফজাল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

আফজাল হোসেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের একজন তুখোড় অভিনেতা হিসেবে সর্বজনবিদিত হলেও তার অভিনয় জীবনের শুরু মঞ্চ থেকে। চারুকলায় পড়ার সময় ঢাকা থিয়েটারের মাধ্যমে মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু হয় তার। আফজাল হোসেনের ছেলেবেলা কেটেছে দেশের সীমান্তবর্তী এক গ্রামে। মামাবাড়ি কলকাতায় হওয়ায় এবং ঘন ঘন যাতায়াত থাকায় সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় নিজ উদ্যোগেই গ্রামে একটি মঞ্চনাটকের আয়োজন করেন। অভিনেতা হিসেবে আফজাল হোসেনের জন্ম ঠিক তখনই।

সত্তর দশকের শেষের দিকে টেলিভিশন জগতে প্রবেশ করেন তিনি। আশির দশকের টেলিভিশন নাটকের এক জনপ্রিয় নাম আফজাল হোসেন। তার অভিনীত বেশকিছু নাটক আজও মাইলফলক হিসেবে দর্শক হৃদয়ে স্থান করে আছে।

চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন নিজের গণ্ডি ছাড়িয়ে হয়েছেন একাধারে অভিনেতা, নির্দেশক, নাট্যকার, পরিচালক, উপস্থাপক, মডেল, বিজ্ঞাপন নির্মাতা। সফল হয়েছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে। সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন তার প্রতিটি কাজে।

চিরসবুজ অভিনেতা ও নির্দেশক আফজাল হোসেনের জন্মদিন আজ। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও বহু গুণে গুণান্বিত শিল্পী আফজাল হোসেন ১৯৫৪ সালের ১৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। যদিও সনদ অনুযায়ী জন্মদিন ২৭ মার্চ।

১৯৮০ সালে প্রচারিত ‘রক্তের আঙ্গুরলতা’ টেলিভিশন নাটকে তিনি নিয়ে আসেন নতুন ধারা, নতুন ভাবনা। ‘পারলে না রুমকি’ নাটকটি বিটিভির নাটকের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে আছে আজো। মডেলিং ও বিজ্ঞাপনচিত্রকে শিল্প পর্যায়ে উন্নীত করেছেন এই তারকা। একটি পণ্যকে ভোক্তার কাছে উপস্থাপন করার যে পথ তিনি দেখিয়েছেন, সে পথ ধরেই বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনচিত্রের আজ এত দূর এগিয়ে আসা। বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ আফজাল হোসেনের নেশা ও পেশা।

সুবর্ণা-আফজাল। ছবি : সংগৃহীত

আশির দশকে বাংলাদেশের নাটকে সুর্বণা-আফজাল জুটি দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। তাদের অভিনীত দর্শকপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কুল নাই কিনার নাই’, ‘পারলে না রুমালি’, ‘জোহরা’, ‘ওহ দেবদুত’, ‘রক্তের আঙ্গুরলতা’ ইত্যাদি। এছাড়া ঢাকা থিয়েটারের হয়ে মঞ্চেও তারা দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হন।তাদেরকে ছোট পর্দার চিরসবুজ জুটি বলা হয়।

চির তরুণ এই অভিনেতার রুচিবোধ, পোশাকের স্টাইল, নিজেকে উপস্থাপনের ভঙ্গি সবই অনুকরণীয় নবীনদের জন্য। আজও তরুণদের ফ্যাশন আইকন হিসেবে অনুসরণীয় রয়েছেন আফজাল হোসেন। বহুগুণের অধিকারী এই মানুষটি সম্পর্কে আরেকটি কথা না বললেই নয়, মুক্তিযুদ্ধে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি বটে, কিন্তু পরোক্ষভাবে যোদ্ধা ছিলেন তিনি। তার আঁকা কার্টুন প্রদর্শনী সাহস যুগিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের।

এমন আরো সংবাদ

সর্বশেষ বিনোদন