সেপ্টেম্বরে ৪০ বছর বয়সে পা রাখবেন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পপশিল্পী বিয়োন্সে। আর এ উপলক্ষে এক সাক্ষাৎকারে তাঁর অনুভূতি, সঙ্গীত অঙ্গনে অতীত অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যৎ ভাবনা জানান তিনি।
হারপার বাজার-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিয়োন্সে জানান, দেড় বছর ধরে তিনি নতুন অ্যালবামের জন্য রেকর্ড করছেন।
“[সঙ্গীত অঙ্গনে] ৩১ বছর কাটানোর পরও ৯ বছর বয়সের মতোই রোমাঞ্চিত আমি।”
ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে গান ও নাচ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে নিজ গায়ের রংয়ের কারণে বাড়তি চাপ অনুভব করতেন বলে জানান বিয়োন্সে।
“প্রায় সময় আমিই ছিলাম একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ে, আর তখনই আমি বুঝতে পারলাম যে আমার দ্বিগুণ ভালো নাচতে ও গাইতে হবে। যদি জিততে চাই, তবে আমার দরকার মঞ্চে চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি, উপস্থিত বুদ্ধি আর মুগ্ধ করার ক্ষমতা।”
পরিবার নিয়ে বলতে গিয়ে মা-কে বিয়োন্সে উল্লেখ করেন ‘মানবতায় পরিপূর্ণ এক মানুষ’ হিসেবে। বাবা তাঁকে ছোটবেলা থেকেই নিজের গান লিখতে, নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে উৎসাহ দিতেন। আর অনুপ্রেরণা যোগানো নারী প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘ডেসটিনি’জ চাইল্ড’ গার্ল গ্রুপের শিল্পীবন্ধু কেলি রোল্যান্ড ও মিশেল উইলিয়ামস, এবং রেকর্ডিং আর্টিস্ট বোন সোলাঞ্জের কথা।
এছাড়াও জীবনের এক পর্যায়ে নিজের শরীর নিয়ে কটূক্তির মুখে অটল থাকার গল্প শোনান বিয়োন্সে। ডেসটিনি’জ চাইল্ড-এর ‘সারভাইভার’ অ্যালবামে তাঁর ‘বুটিলিশাস’ গানটি এ ঘটনা নিয়েই। তিনি জানান, জীবন থেকে পাওয়া এসব শিক্ষা একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া মানুষের ক্ষমতায়নে ব্যবহার করেছেন তিনি।
সঙ্গীত অঙ্গনে টিকে থাকার এখনকার লড়াই নিয়েও কথা বলেন তিনি। সামাজিক অসঙ্গতিগুলো দূর করতে চান, চান মানুষের কল্পনার স্বাধীনতা।
“আমি দশকের পর দশক ধরে সব নিয়ম মেনে এসেছি, আর যেসব নিয়ম ভাঙা যায় তা এখন আমি ভাঙতে পারি। ভবিষ্যত নিয়ে আমার আশা, যা আমার ক্ষমতার বাইরে বলে সবাই মনে করে, আমি তা-ই করে যাবো।”
বিয়োন্সে জানান, সঙ্গীতের বাইরে চলচ্চিত্র নির্মাণ তাঁর “নতুন খুঁজে পাওয়া ভালোবাসা”। ‘বিয়োন্সে’, ‘লেমোনেড’, ‘হোমকামিং’ এবং ‘ব্ল্যাক ইজ কিং’ অ্যালবামগুলোয় এর প্রভাব দেখা গেছে।
আগামী দশ বছর জীবনকে উপভোগ করতে চান বিয়োন্সে। “স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। কাজের বাইরে ঘুরতে যেতে চাই। আমি চাই আগামী দশক হোক উৎসবের, আনন্দের আর ভালোবাসার। যারা আমাকে ভালোবাসে, তাদের ভালোবাসা দিতে চাই।”
আগের সেই বিয়োন্সে খোলনলচে যথেষ্ট পালটে গেছে বলে মনে করেন তিনি।
“এত বছর ধরে আমি নিজের, কাজের উন্নতি করার চেষ্টা করেই গিয়েছি। এখন আমি এমন এক জায়গায় আছি, যেখানে নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতার প্রয়োজন নেই। পেছন ফেরার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই আমার। অতীত অতীতই।”