পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় নাট্যশালার মিলনায়তনগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে।
করোনার কারণে এই বছর মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে জাতীয় নাট্যশালার মিলনায়তনগুলোতে নাটক মঞ্চায়ন স্থগিত রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি বন্ধ ছিলো মহড়াকক্ষগুলোও। তবে আজ থেকে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত নীতিমালা মেনে নাট্যদলগুলো নাটক মঞ্চায়ন এবং মহড়াকক্ষ ব্যবহার করতে পারবে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে সমন্বয় করে মিলনায়তন ব্যবহার এবং নাটক মঞ্চায়নের এই নীতিমালাটি তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ জানান, নির্ধারিত করে দেওয়া ৫০ শতাংশ আসনে দর্শকের বসার ব্যবস্থা থাকবে। সপ্তাহের যেকোন দিন মিলনায়তন বরাদ্দের আবেদন করা যাবে।
বায়েজিদ বলেন, “দীর্ঘদিন শো বন্ধ থাকায় এমনিতে দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন অব্যহৃত থাকায় নাটকের প্রপস, কস্টিউম সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দিচ্ছে, কিন্তু ৫০ শতাংশ টিকিটই বিক্রি করা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে আমরা হলভাড়া সম্পূর্ণ মওকুফের দাবি জানাচ্ছি। অন্তত একটা বছর ভাড়া মওকুফ চাচ্ছি।“
মিলনায়তনে প্রবেশ করার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সূত্র। একাডেমির মিলনায়তন পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি দর্শকদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে মিলনায়তনে ঢুকতে দেওয়া হবে।