অ্যালবামের গান পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে সমান হারে রয়্যালিটি পাবে চার পক্ষ।
দীর্ঘ বৈঠক ও আলোচনার পর পুরোনো গানের মেধাস্বত্বে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। ৫ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে কপিরাইট বোর্ড জানিয়েছে, অ্যালবামের গান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করলে গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সমান হারে রয়্যালিটি পাবে। তবে গানে নতুন করে কোনো সংযোজনের ক্ষেত্রে অবশ্যই গীতিকার ও সুরকারের অনুমতি নিতে হবে।
বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, “যে সকল পুরনো গান পূর্বে কেবল সিডি বা ভিসিডি ও ক্যাসেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল এবং সংশ্লিষ্ট লেবেল কোম্পানিকে নতুন করে অর্থ বিনিয়োগ কিংবা গীতিকার, সুরকার বা কণ্ঠশিল্পীকে পুনরায় কোনও মেধা বা শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়নি, এরূপ পুরনো গানের ক্ষেত্রে গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও লেবেল কোম্পানি প্রত্যেক পক্ষ ২৫ শতাংশ হারে মেধাস্বত্ব পাবেন।“
জানা যায়, মেধাস্বত্বের জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের ২২ মার্চের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তই এই চিঠিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হল। এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই মত নিয়েছে কপিরাইট বোর্ড। এই নীতিমালা অনুসরণ করেই ডিজিটাল বা অন্য প্ল্যাটফর্মে গানের মেধাস্বত্ব ভাগ করতে অনুরোধ জানানো হয়। কপিরাইট বোর্ডের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে সঙ্গীতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
গানের মেধাস্বত্ব নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পীদের এক যুগ ধরে মতানৈক্য চলছিল। এ নীতিমালার ফলে মেধাস্বত্ব ছাড়াও অন্যান্য বিষয়েও বিবাদের অবসান হবে বলে মনে করছেন সঙ্গীতসংশ্লিষ্ট অনেকেই।