ক্যারিয়ারের শুরুটা খুব একটা মসৃণ ছিল না অমিতাভ বচ্চনের। তার পথ ছিল কণ্টকময়। একাধিক ফ্লপ ছবির নায়ক ছিলেন তিনি। অনেকে ভেবেছিলেন তার ক্যারিয়ার হয়তো শেষ হয়ে যাবে। ডুবতে থাকা ক্যারিয়ার বাঁচাতে ‘বিজয়’ নামে সিনেমায় ঘুরে দাঁড়ান অমিতাভ বচ্চন। তার সাফল্যের পিছনে অনুঘটকের কাজ করেছিল ‘বিজয়’নামটি।
১৯৭৩ সালে পরিচালক প্রকাশ মেহরার ছবি ‘জঞ্জির’-এ ইন্সপেক্টর বিজয় চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেন অমিতাভ। চরিত্রটি অমিতাভের করার কথা ছিল না। সেসময় কয়েকজন নামী অভিনেতা চরিত্রটি করতে না চাওয়ায় আসে অমিতাভের কাছে। অমিতাভ সুযোগটি কাজে লাগান। এই সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বলি-ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন ‘বিগ বি’।
নামটি এতো জনপ্রিয় হয় এবং অমিতাভকে এতোটাই মানায় যে এরপর ২০টিরও বেশি সিনেমায় ‘বিজয়’ নামেই অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৯০ সালের ‘অগ্নিপথ’ সিনেমায় ‘বিজয় দীনানাথ চৌহান’ চরিত্রে তার অভিনয় মানুষ এখনো স্মরণ করে। এই ‘বিজয়’ নাম দিয়েই লাখো দর্শের মন জয় করেন অভিতাভ, হয়ে ওঠেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সম্মান আর খ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি কয়েক দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করছেন ‘বড় মিয়া’।
‘বিজয়’ নামটা অমিতাভ বচ্চনের ক্যারিয়ারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ‘জঞ্জির’ ছাড়াও ‘রোটি কাপড়া অউর মাকান’, ‘দিওয়ার’, ‘হেরা ফেরি’, ‘ডন’, ‘ত্রিশূল’, ‘দ্য গ্রেট গ্যাম্বলার’, ‘কালা পাথর’, ‘দো অউর দো পাঁচ’, ‘দস্তানা’, ‘শান’, ‘শক্তি’, ‘আখেরি রাস্তা’, ‘শাহেনশাহ’, ‘অগ্নিপথ’, ‘অলক্ষ্য’, ‘এক রিস্তা: দ্য বন্ড অফ লাভ’, ‘আঁখে’, ‘গঙ্গা’, ‘নিঃশব্দ’, ‘রণ’, ‘বুড্ডা হোগা তেরা বাপ’ সিনেমাগুলোতে ‘বিজয়’ নামেই অভিনয় করেছেন তিনি।
আরো একবার বিজয়ের চরিত্রে দেখা যাবে অমিতাভকে। ‘ঝুন্ড’ নামের এই সিনেমা পরিচালন করেছেন মারাঠি পরিচালক নাগরাজ পপাটলাল মঞ্জুল। সিনেমাটি এবছরের ৪ মার্চ মুক্তি পাবে।