অনুরাগীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। সম্প্রতি এই তারকা ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘বিষয়গুলো সকলের সামনে আনতে চাইছি কারণ আমি চাই না সবাই মনে করুন, আমার সবকিছু স্বাভাবিক চলছে। কারণ তা ঘটছে না। যদি এই সপ্তাহে আমাকে নিয়ে সংবাদপত্রে কিছু পড়ে থাকেন তাহলে সেটি অবশ্যই বুঝতে পারবেন। গত দুই বছর ধরে সবকিছু ঠিকঠাক আছে এটি ভান করে থাকার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমি সম্মানের জন্য এটি করেছি এবং আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা বলতে লজ্জ্বাবোধ করছি। কে না চায় তার ইনস্টাগ্রামে সবসময় মজার কিছু থাকুক। তবে যাই বলুন, ঠিক আছি তা অভিনয় করাতে আমার ভালোই হয়েছে। তাই আজ এই পোস্টটি করছি।’
২০০৮ সালে এই পপ তারকা বিষণ্নতা ও অবসাদের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটরশিপ আইনের অধীনে আদালতের আদেশে ব্রিটনির বাবা জিমিকে ব্রিটনির সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার দেয়া হয়।
এই গায়িকার আর্থিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন তার বাবা (জিমি)। কিন্তু ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে ব্রিটনি জানান, এটা তার কাছে বন্দি থাকার মতো। যত দ্রুত সম্ভব তিনি এই ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চান।
দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের বাবা জিমি তার জীবনযাত্রা ও আর্থিক সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। তবে এই তারকার দাবি, তার সম্পুর্ন ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ খেতে বাধ্য করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করতে ও আবার সন্তান নিতেও তাকে বাধা দেয়া হয়েছে। যার ফলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এই কনজারভেটরশিপ তার ভালোর চেয়ে খারাপই করেছে।