জর্ডানের চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহামেদ দিয়াবের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আমিরা’র প্রথম প্রদর্শনী হয় ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। মার্কিন অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অস্কারের ২০২২ সালের আসরে জর্ডানের প্রতিনিধিত্ব করতে চলচ্চিত্রটি নির্বাচিতও হয়। কিন্তু ফিলিস্তিন-ইজরায়েলকে কেন্দ্র করে এক বিতর্কের জের ধরে অস্কারে প্রতিযোগিতার দৌঁড় থেকে চলচ্চিত্রটি সরিয়ে নিয়েছে জর্ডান।
‘আমিরা’ চলচ্চিত্রের গল্পে ফিলিস্তিনি কিশোরী আমিরা জানতে পারে, যাকে সে বাবা বলে জেনে এসেছে সে আসলে তার বাবা নয়। বরং তার জন্ম এক ইজরায়েলি সেনার ঔরসে। এই গল্পকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট তুমুল বিতর্কের ভিত্তিতে অস্কার থেকে চলচ্চিত্রটি সরিয়ে নেয়া হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রয়াল ফিল্ম কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা চলচ্চিত্রটির শিল্পগত মূল্যে বিশ্বাস করি, আর এখানকার যে বার্তা তা ফিলিস্তিনি লড়াই বা বন্দিদের কোনোভাবেই আঘাত করে না। চলচ্চিত্রে বরং তাদের দুর্দশা, দুর্দম মনোভাব, আর অধিকৃত অবস্থায়ও গোছানো এক জীবন গড়ার যে আকাঙ্ক্ষা তাকেই উঁচুতে তুলে ধরে। এরপরও ফিলিস্তিনি বন্দি ও তাদের পরিবারের অনুভূতির প্রতি সম্মান রেখে রয়্যাল ফিল্ম কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২২ সালের অস্কারে ‘আমিরা’ অংশগ্রহণ করবে না।”
এর প্রেক্ষিতে ‘আমিরা’ সংশ্লিষ্টরা জানান, এযাবত যত উৎসবেই চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী হয়েছে, সবখানেই একে ইজরায়েলি দখলদারিত্বের সমালোচনা হিসেবেই দেখা হয়েছে। কাল্পনিক কাহিনীর ভিত্তিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে ফিলিস্তিনি শিশুদের স্বাধীনতার প্রসঙ্গেও জোর দেয়া হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। ফিলিস্তিনি বন্দিদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তারা ভবিষ্যতে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি, ‘আমিরা’য় অসম্মানসূচক কিছু আছে কিনা – এই সংক্রান্ত বিভ্রান্তি দূর করতে ফিলিস্তিনি বন্দিদের পরিবারকে এই চলচ্চিত্রটি দেখার আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।
‘আমিরা’র নির্মাতা দিয়াব মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য হলিউড রিপোর্টারকে জানান, রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের আগে তাদের বারবার হুমকি দেয়া হয়। তাই এই প্রদর্শনী থেকে চলচ্চিত্রটি সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।