টলিউড সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে, রক্তচাপ নেমে গিয়েছে। সেই সাথে শরীরে পানি শূণ্যতা দেখা দিয়েছে। বেশ দূর্বল হয়ে পড়েছেন তিনি। এর আগে কসবায় ভুয়া করোনা টিকা দিয়েছিলেন তিনি। ধারণ করা হচ্ছে সেখান থেকেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
২৬ জুন মিমি নিজের সমস্যা সম্পর্কে আনন্দবাজারকে জানান, ‘খুবই দূর্বল হয়ে পড়েছি। ভোর ৪টা থেকে পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। ভোর ৬টায় চিকিৎসক আমার বাড়ি আসেন।’
চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী তাকে এখন সম্পুর্ন বেডরেস্টে থাকতে হবে। চিকিৎসক ফোন দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। মিমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত বিধ্বস্ত।
করোনা প্রতিষেধকের নামে যে টিকা দেয়া হয়েছিল তার ফরেন্সিক রির্পোট জানতে পেরে মিমি বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। সে সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, এটা এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, যেটা পানিতে গুলে দেয়া হয়েছিল। এটা খুবই কড়া ঔষধ। চিকিৎসক তাকে আরো জানান, পানিতে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে বলে সম্ভবত সে রকম ক্ষতি করবে না।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের উৎসাহ বাড়াতে মিমি কসবায় সেই প্রতিষেধক শিবিরে যোগ দিয়ে কোভিশিল্ড প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ নেন।
প্রতিষেধক নেয়ার পর মিমি ওই শিবিরের উদ্যোক্তাদের কাছে প্রমাণপত্র চান। তখন তারা জানায়, কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মুঠোফোনে প্রতিষেধক নেয়ার প্রমাণপত্র এসে যাবে। এরপর তিনি তার এক সহকারীকে প্রমাণপত্র নিয়ে আসার অনুরোধ করেন। কিন্তু বেশ কয়েক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পর তিনি প্রমাণপত্র না নিয়েই ফিরে আসেন।
অভিনেত্রীর কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে তিনি তাৎক্ষণিক কসবা থানায় যোগাযোগ করেন। এরপর বন্ধ করে দেয়া হয় প্রতিষেধক দেয়ার শিবির। এবং ভুয়া পরিচয় দেয়া সেই ব্যক্তিকে আটক করেন পুলিশ। সেই সাথে তার ব্যবহৃত কাগজপত্রসহ সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়।