বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎসাহ দিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রতি বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিয়ে থাকে। গত আগস্টে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুরস্কারের এই আসরের জন্য ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র আহ্বান করে মন্ত্রণালয়। এই বছর মোট ২৭টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে, যার মধ্যে ১৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ৬টি প্রামাণ্যচিত্র। জমা পড়া চলচ্চিত্রগুলো থেকে ২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের একটি সম্ভাব্য তালিকা করেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরিবোর্ড।
ক্যাটাগরিভিত্তিক সেই তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে ক্যাবিনেটের অনুমোদন সাপেক্ষে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
জুরিবোর্ডের সদস্য নিজামুল কবির দৈনিক প্রথম আলোকে বলেন, “গতকাল জুরিবোর্ডের শেষ সভায় আমাদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করেছি। ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী সুপারিশ করা হয়েছে। তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বা হবে।
ক্যাবিনেট অনুমোদন দিলে পুরস্কার বিতরণের প্রশ্ন আসবে। ২৮টি ক্যাটাগরির মধ্যে ২৬টি ক্যাটাগরিতে সম্ভবত আমরা সুপারিশ করেছি। দুটি ক্যাটাগরিতে কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু সেরা অভিনেত্রী, অভিনেতা, খলনায়ক, পরিচালক, নৃত্য পরিচালক, সাজসজ্জা এগুলো পাওয়া গেছে।’’
জুরিবোর্ডের আরেক সদস্য ও সেন্সর বোর্ডের সহ-সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের কাজ শেষ। সুপারিশ করা তালিকা শিগগির আমরা পাঠাব। বাকি কাজ করবে মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে তালিকা চূড়ান্ত হবে। কবে পুরস্কার প্রদান করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় নেবে।’’
সাম্প্রতিককালের হিসেবে এই বছরই জাতীয় পুরস্কারের জন্য সবচেয়ে কম সংখ্যক চলচ্চিত্র জমা পড়েছে।