পশ্চিম বাংলার প্রথিতযশা আবৃত্তিশিল্পী গৌরী ঘোষ আর নেই।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত কয়েক দিন যাবত গৌরী ঘোষ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গতকাল ২৬ আগস্ট সকালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
১৯৭১ সালে গৌরী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনের পাশাপাশি শরণার্থীদের ত্রাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। এই অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে তাঁকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মান’ পুরস্কারে ভূষিত করে।
তিন দশক ধরে কলকাতা থেকে প্রচারিত আকাশবাণীর নানা অনুষ্ঠানে উপস্থাপক গৌরী ঘোষের কণ্ঠ শুনেছেন শ্রোতারা। স্বামী পার্থ ঘোষের সঙ্গে গৌরী ঘোষের যৌথ শ্রুতি নাটক ‘কর্ণকুন্তি সংবাদ’ বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। তাঁদের ‘এই তো জীবন’ সহ কয়েকটি অ্যালবাম জনপ্রিয়।
গৌরী ঘোষের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্বেরা শোক প্রকাশ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে বাংলাদেশি পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ লিখেছেন, “চলে গেলেন স্মরণকালের অতুলনীয় আবৃত্তিশিল্পী গৌরী ঘোষ। আমাদের পরিবারের মাতৃস্বরূপা। গৌরীমার সঙ্গে তিন দশকের ভালোবাসা, মমতা, স্নেহের কত স্মৃতি।“
সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র লেখেন, “মায়ের মতো মানুষ চলে গেলেন। মাথার ওপর ছাদ ক্রমশ হারিয়ে ফেলছি।“
কবি সুবোধ সরকার লিখেছেন, “আজ আবৃত্তির জগৎ ছেড়ে একজন সম্রাজ্ঞী তাঁর হাঁস ও বীণা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। তাঁর অগণিত অনুরাগীর চোখে জল। আমাদের আজ গভীর শোকের দিন।“
২০১৮ সালে গৌরী ঘোষকে ‘কাজী সব্যসাচী সম্মান’ দেয় পশ্চিম বাংলার রাজ্য সরকার।