গত ২ নভেম্বর ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে টি জে নান্নেভাল পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘জয় ভীম’। তামিল তারকা সুরিয়া অভিনীত এই চলচ্চিত্রে দেখা যায়, একদল অভিযুক্তকে জাতভেদে আলাদা দলে ভাগ করে পুলিশ। অগ্রসরদের ছেড়ে দিয়ে দলিতদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা করা হয়। এই চলচ্চিত্রে ভান্নিয়ার সম্প্রদায়কে অপমানের অভিযোগে সংশ্লিষ্টদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দল ভান্নিয়ার সঙ্গম। পাশাপাশি পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে।
‘জয় ভীম’ চলচ্চিত্রে গ্রামের এক ধনী ব্যক্তির বাড়ি থেকে গয়না চুরির অভিযোগে পুলিশ নির্দোষ রাজাকান্নুর ওপর নির্যাতন চালায়। এক ভোরে আচমকাই জানা যায়, পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছেন রাজাকান্নু। রহস্যজনক এই অন্তর্ধানের পর রাজাকান্নুর স্ত্রী সেনগানি আইনজীবী চন্দ্রুর কাছে ছুটে যান। হাইকোর্টে মামলা করেন চন্দ্রু, শুরু হয় রাজাকান্নুকে ফিরে পাওয়ার লড়াই। চলচ্চিত্রে সুরিয়া আইনজীবী চন্দ্রুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে খলনায়ক ছাড়া বাকি চরিত্রগুলোর নাম অবিকৃত রাখা হয়েছে। এ নিয়ে সঙ্গমের অভিযোগ, চলচ্চিত্রে সব চরিত্র অবিকৃত রাখা হলেও খলচরিত্র পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে ভিন্ন রাখা হয়েছে। তার প্রকৃত নাম অ্যান্থনি সামি, আর চলচ্চিত্রে চরিত্রটির নাম ‘গুরুমূর্তি’। এতে ভান্নিয়ার সম্প্রদায়ের গুরুমূর্তি এবং সম্প্রদায়ের নানা প্রতীককে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের কারণে সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
তবে অভিনেতা সুরিয়া বলছেন, এটি শিল্পের স্বাধীনতা – তাই তিনি ক্ষমা চাইবেন না। আর নির্মাতা টি জে জ্ঞানাভেল জানান, চলচ্চিত্রে তিনি কারো অনুভূতিতে আঘাত করতে চাননি। বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পরে তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে সুরিয়ার বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দুবাইয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন। তার অনুপস্থিতিতে এক আইনজীবী তার পক্ষে মামলা লড়বেন।
সম্প্রতি চলচ্চিত্র বিষয়ক তথ্যভাণ্ডার আইএমডিবির রেটিংয়ে সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র হলিউডের ‘দ্য শশাঙ্ক রিডাম্পশন’কে ছাড়িয়ে যায় ‘জয় ভীম’। দর্শকের ভোটে ‘জয় ভীম’ চলচ্চিত্রের রেটিং ৯.৬, আর ‘দ্য শশাঙ্ক রিডাম্পশন’ পেয়েছে ৯.৩।