১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় ‘গোস্টবাস্টার্স’ চলচ্চিত্রে একদল ভূতশিকারিকে ভূত ধরে বেড়াতে দেখা যায়। ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় পর্ব ‘গোস্টবাস্টার্স টু’ মুক্তি পায় ১৯৮৯ সালে। আর ২০১৬ সালে চার নারী কেন্দ্রীয় চরিত্র নিয়ে ‘গোস্টবাস্টার্স’ নামেই নতুন একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। গত ১৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজির পরবর্তী চলচ্চিত্র ‘গোস্টবাস্টার্স: আফটার লাইফ’। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে বলে জানায় দৈনিক প্রথম আলো।
গত জুলাইয়ে ‘ঘোস্টবাস্টার্স: আফটার লাইফ’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। স্টার সিনেপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলচ্চিত্রটি দীর্ঘ সময় ধরে প্রেক্ষাগৃহে চালানোর পরিকল্পনা চলছে। ৩১ ডিসেম্বর শহীদ কাপুরের ‘জার্সি’ মুক্তির এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সনি পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্টের ‘গোস্টবাস্টার্স: আফটার লাইফ’ চলচ্চিত্রের গল্প আবর্তিত হয়েছে দুই কিশোরকে কেন্দ্র করে। মায়ের সঙ্গে ছোট এক শহরে থাকতে গিয়ে ভূতের সঙ্গে তাদের সংযোগ তৈরি হয়। আর দাদার রেখে যাওয়া রহস্য উদঘাটন শুরু করে তারা।
‘গোস্টবাস্টার্স’ ও ‘গোস্টবাস্টার্স টু’ চলচ্চিত্রে হলিউড তারকা বিল মারে, ড্যান অ্যাক্রয়েড ও হ্যারল্ড রামিসকে ভূতশিকারি প্যারাসাইকোলজি অধ্যাপক হিসেবে দেখানো হয়েছিল। নতুন এই সিকুয়েলে ফিরেছেন মারে, অ্যাক্রয়েড, সিগুর্নি উইভার, অ্যানি পটস ও আরনি হাডসন। আর নতুন যুক্ত হয়েছেন পল রাড, ক্যারি কুন, ফিন উলফহার্ড ও ম্যাককেনা গ্রেস। আগের চলচ্চিত্রগুলোর মতো এটিও পরিচালনা করেছেন জেসন রেইটম্যান। আগস্টে লাস ভেগাসের সিনেমাকনে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের পর ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
২০১৬ সালের ‘গোস্টবাস্টার্স’ চলচ্চিত্রে দেখা গেছে, শহরে ভূতের দলের উপদ্রব ঠেকাতে মাঠে নামে মেলিসা ম্যাককার্থি, ক্রিস্টেন উইগ, কেট ম্যাককিনন ও লেসলি জোন্স। অস্ট্রেলিয়ান তারকা ক্রিস হেমসওয়ার্থ চলচ্চিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে চলচ্চিত্রটি আশানুরূপ সাফল্য পায়নি।