মাদক মামলায় অবশেষে জামিন পেয়েছেন বলিউড তারকা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। ২ অক্টোবর মুম্বাইয়ে ভারতের ন্যাশনাল নারকোটিক্স ব্যুরো (এনসিবি) একটি প্রমোদতরীতে অভিযান চালিয়ে আরিয়ান সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এনসিবির আঞ্চলিক পরিচালক সমীর বানখেড়ে। তার বিরুদ্ধে চলছে সমালোচনা, উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ। মুম্বাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারে – এমন আশঙ্কায় নিরাপত্তা চেয়ে তিনি বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানায়, গত ২৮ অক্টোবর আদালতে সমীরের অন্তর্বর্তী সুরক্ষা আবেদন খারিজ হয়েছে। দুর্নীতি রোধ আইনে সমীরকে গ্রেফতার করতে হলে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সরকারপক্ষের আইনজীবী। আর আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর সাংবাদিকেরা সমীরের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে দ্রুত আদালত প্রাঙ্গন ছেড়ে যান।
২১ দিন ধরে আর্থার রোড জেলে বন্দী ছিলেন আরিয়ান। এনডিপিএস আদালতে তিন দফা আবেদন খারিজ হওয়ার পর উচ্চ আদালতে তিনি জামিন পেয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেই তিনি নিজ পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন। তার সঙ্গে জামিন পেয়েছেন অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা। তবে আপাতত তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে, তদন্ত কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া মুম্বাই বা দেশ ছাড়তে পারবেন না। সংবাদমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিবৃতি দিতে পারবেন না। এছাড়াও এনসিবি কার্যালয়ে নিয়মিত হাজিরা দিতে এবং মামলার তদন্তে সহায়তা করতে হবে।
২০১১ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি আটকে দেওয়া থেকে শুরু করে সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে মাদকের সন্ধান — সমীরের ভূমিকা আছেই। ২০১৩ সালে তিনি বিমানবন্দর থেকে বিদেশি মুদ্রা সহ মিকা সিংকে আটক করেন। রিয়া চক্রবর্তীর মাদক কেলেঙ্কারির তদন্তের দায়িত্বেও তিনিই ছিলেন। সমীর বলিউড অভিনেত্রী ক্রান্তি রেদকরের স্বামী। ২০০৩ সালে অজয় দেবগনের ‘গঙ্গাজল’ এবং একাধিক মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রান্তি।