ঋতু আসবে যাবে, আসবে না ঋতুপর্ণ

২০১৩ সালের আজকের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ। ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুর ৮ বছর পূর্ণ হল আজ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমাতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এই নির্মাতা। তারপর আর থেমে থাকেননি, বাংলা সমকালীন চলচ্চিত্রকে নিয়ে তিনি উড়েছেন। সারাজীবনে পেয়েছেন মোট ১৯টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। কজনের ভাগ্যে এতোটা জোটে! এজন্যই তো তার সঙ্গে সবাই কাজ করতে চাইতেন। তাকে প্রভাবিত করেছেন দুজন, সত্যজিৎ আর রবীন্দ্রনাথ। চলার সারথি হিসেবে আর কাকে চাই! দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তার ছবি ও তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। চলচ্চিত্রের কথা যেখানে আছে, সেখানেই উচ্চারিত হয় ঋতুর নাম।

তার জন্ম ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্ট। কলকাতার মানুষ তিনি। বাবা সুনীল ঘোষ ছিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। ঋতুর উচ্চশিক্ষা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘হীরের আংটি’। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি এই সিনেমা প্রশংসীত হয়। যাহোক এসব কথা কমবেশি সবার জানা। তার সম্পর্কে এমন কয়েকটি তথ্য দেয়া যাক যা অনেকের অজানা।

অনেকেই ভেবে দেখেননি, বচ্চন পরিবারের সবার সঙ্গে কাজ করেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, অমিতাভ থেকে শুরু করে ঐশ্বরিয়া রায়- সবার সঙ্গে। এই হিসেবে তিনি একমাত্র পরিচালক।

অভিনেতা হিসেবে ঋতুপর্ণর খ্যাতি আছে। তবে তিনি প্রথম অভিনয় করেন ‘কথা দেইথিল্লি মা কু’ নামের একটি ওড়িয়া ছবিতে, ২০০৩ সালে। সে ছবির পরিচালক ছিলেন হিমাংশু পারিজা।
বচ্চন পরিবারের সবার সঙ্গে ছাড়াও ঋতুপর্ণ রাখি গুলজার, অজয় দেবগন, কিরণ খের, মনীষা কৈরালার মত বহু বলিউড অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে সিনেমা করেছেন। আর কোনো বাঙালি পরিচালক এতো বলিউড তারকার সঙ্গে কাজ করেননি।

ঋতুপর্ণের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘উনিশে এপ্রিল’ সত্যজিৎ রায়ের ‘জলসাঘর’ চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত। জলসাঘরের গল্পকার তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার পরিচয় ‘সঞ্চয়িতা’ গ্রন্থের মা কবিতার মাধ্যমে।
ঋতু পরিচালিত ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’ ছবির শুটিং চলাকালেই তিনি ‘সেক্স চেঞ্জিং অপারেশন’টি করান।

এমন আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ বিনোদন