ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ‘সিটিটিসি’র কিছু শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের অনুপ্রেরণায় নির্মিত হয়েছে অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘মিশন এক্সট্রিম’। দুই খণ্ডে নির্মিত চলচ্চিত্রটির প্রথম খণ্ড আগামী ৩ ডিসেম্বর দেশ ও দেশের বাইরে একযোগে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ৯ নভেম্বর প্রযোজনা সংস্থা কপ ক্রিয়েশন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানায়, চলচ্চিত্রটি বিনা কর্তনে সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র পেয়েছে।
‘মিশন এক্সট্রিম’ চলচ্চিত্রের পরিচালক ও প্রযোজক সানী সানোয়ার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, “সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা মেট্রিক পাসের আনন্দের মতো লেগেছে। এ কদিন কেমন যেন একটা চাপা উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। একটা সেনসিটিভ কাহিনি, বোর্ড কীভাবে দেখে সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। কিন্তু না, দেখলাম পাস! বোর্ড বিনা কর্তনে সেন্সর দিয়েছে। তাই সেন্সর বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’’ চলচ্চিত্রের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সানী সানোয়ার নিজেই।
‘মিশন এক্সট্রিম’ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা আরিফিন শুভ বলেন, “লেখক এবং নির্মাতা যথেষ্ট সচেতন থেকে সিনেমাটি বানিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা ‘মিশন এক্সট্রিম’ একটি বিগ-টিমওয়ার্কের ফসল। এবার হলে যাবার পালা।’’
বোর্ডের সদস্যদের কাছে ‘মিশন এক্সট্রিম’ চলচ্চিত্রটি প্রশংসিতও হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সচিব মো. মমিনুল হক। এর আগে চলচ্চিত্রটির অ্যাকশন ও রহস্যের আবহে ঘেরা ট্রেলার প্রকাশিত হয়।
‘মিশন এক্সট্রিম’ চলচ্চিত্রটি পুলিশ সুপার সানী সানোয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন ফয়সাল আহমদ। এতে শুভ ছাড়াও অভিনয় করেছেন তাসকিন রহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, সাদিয়া নাবিলা ও সুমিত সেনগুপ্ত, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, মাজনুন মিজান, ইরেশ যাকের, মনোজ প্রামাণিক, আরেফ সৈয়দ, সুদীপ বিশ্বাস দীপ, রাশেদ মামুন অপু, এহসানুল রহমান, দীপু ইমাম প্রমুখ। চলচ্চিত্রের সহযোগী প্রযোজক হিসেবে আছে মাইম মাল্টিমিডিয়া ও ঢাকা ডিটেকটিভ ক্লাব।