সাড়ে তিন মিনিটে গোটা বাংলাদেশ

জুঁই ও লরা চরিত্রে নেহা ও অ্যালেক্স। ছবি : সংগৃহীত

গল্পটি মাত্র সাড়ে তিন মিনিটের, দুই রুমমেটের। তাদের গল্পই হয়ে ওঠে গোটা বাংলাদেশের গল্প। দুই রুমমেট জুঁই ও লরা দেশ ছেড়ে থাকছে বিদেশে। জুঁই বাংলাদেশের মেয়ে। সে তার বিদেশি বন্ধু লরার কাছে জানতে চায়, ছুটিতে সে নিজ দেশে ফিরবে কিনা। বিদেশি বন্ধুটি মনখারাপ করে জানায়, না সে যাচ্ছে না। জুঁই বাংলাদেশে ফেরে তার ওই রুমমেটকে সঙ্গে নিয়ে। তারপর শুরু হয় বাংলাদেশ-বন্দনা। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের নানা উপাদান একের পর এক ভেসে উঠতে থাকে। আর তাতে একাকার হয়ে যায় লরা। আনন্দে আত্মহারা লরা শেষে বলে, ‘মনে হচ্ছে আমি যেন আমার দেশ খুঁজে পেয়েছি।’

‘আমার বাংলাদেশ’ নামের নান্দনিক ও অপূর্ব এই ভিডিওচিত্রটি নির্মাণ করেছেন শক্তিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে ১৫ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ভিডিওচিত্রটি শেয়ার করেন। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন নিজের অনুভূতি। ভিডিওচিত্রটি তৈরি করতে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের সবাইকে ফারুকী ‘ভালোবাসা’ দিয়েছেন। আর লিখেছেন, ‘সারা বাংলাদেশ ঘুরে ঘুরে এই দুইটা ছবি বানাতে আমাদের কেবল ধৈর্য্য আর ক্রিয়েটিভিটি লাগছে তা না। শরীরের দমেরও পরীক্ষা হয়ে গেছে। আর হইছে প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠার অগ্নিপরীক্ষা। এবার একটু কয়টা দিন ঘুম দিবো আরামে! হ্যাপি ফিফটি, বাংলাদেশ।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: ঢাকা অপেরা

‘ব্যাচেলর’, ‘টেলিভিশন’, ‘পিঁপড়াবিদ্যা’, ‘ডুব’, ‘শনিবার বিকেল’ ও ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এর নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরো লিখেছেন, ‘…সবাই মন থেকে সাহায্য করেছে। এতো মানুষের এগিয়ে আসার মন্ত্র কিন্তু আমি বা আমরা ছিলাম না। এর মন্ত্র ছিলো একটাই—বাংলাদেশ।’

জুঁই চরিত্রে অভিনয় করেছেন নেহা আর লরা চরিত্রে ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ডবসন। স্কয়ারের বাংলাদেশের বিউটি ও টেস্ট সেলেব্রেশনের প্রথম ভিডিও এটি। দ্বিতীয়টি দেখতে যেতে হবে ছবিয়াল-এর পেজে। এই প্রকল্পের সহপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন সরয়ার ফারুকীর ভাই গোলাম কিবরিয়া ফারুকী। এর পেছনে আরো কাজ করেছে সান কমিউনিকেশন, মেরিল ও রাঁধুনি ব্র্যান্ড দল।

এমন আরো সংবাদ

সর্বশেষ বিনোদন