বিনোদন জগতে এলেন, ভালো করলেন না—চলে যাবেন। এটাই নিয়ম। কিন্তু এলেন, ভালোও করলেন তারপরও চলে গেলেন! হ্যাঁ, বলিউডে এমন অনেক চিত্রনায়িকা এসেছেন যারা শুরুতেই বাজার দখল করতে পেরেছিলেন, কিন্তু অল্প সময় কাজ করেই স্বেচ্ছায় লোটা–কম্বল নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। হিট তারপরও থাকেননি চলচ্চিত্রপাড়ায়—এমন ১০ বলিউড চিত্রনায়িকার কথাই এই লেখায় তুলে ধরা হলো।
কিমি কাতকার
‘হাম’ সিনেমার বিখ্যাত গান ‘জুম্মা চুম্মা’। ১৯৯১ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কিমি কাতকার। এই ছবির মাধ্যমে আলোচনার তুঙ্গে উঠেন এই অভিনেত্রী। তারপর আরো দু-একটি সিনেমায় অভিনয় করেন। কিন্তু তারপর? তারপর আর তাকে সিনেমায় দেখা যায়নি। সিনেমা থেকে হুট করেই ইস্তেফা দিলেন তিনি।
মীনাক্ষী শেষাদ্রি
মীনাক্ষী শেষাদ্রি কেন সিনেমা ছেড়ে দিলেন তা অনেকেরই মাথায় ঢুকে না। এই অভিনেত্রীর ঝুলিতে ছিল একের পর এক হিট সিনেমা—তারপরও ছেড়ে দিলেন চলচ্চিত্র দুনিয়া। ‘শাহেনশাহ’, ‘দামিনী’ ও ‘ঘাতক’-এর মতো সুপারহিট ছবির নায়িকা তিনি।
মমতা কুলকার্নি
‘করণ অর্জুন-এর মতো ব্লকবাস্টার সিনেমার নায়িকা মমতা কুলকার্নি। আবেদনময়ী চিত্রনায়িকা হিসেবে নব্বইয়ের দশকে তিনি বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন। বিয়ের পর সিনেমায় অভিনয় করা ছেড়ে দিলেন। তার অভিনীত শেষ সিনেমা ‘হামলা’ (১৯৯২)।
ফারাহ নাজ
অভিনেত্রী ফারাহ নাজ অভিনেত্রী টাবুর বড় বোন। তার অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘লাভ ৮৬’, ‘নাসিব আপনা আপনা’, ‘ইমানদার’ অন্যতম। তিনি আশির দশকের অন্যতম প্রধান নারী অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
অনু আগারওয়াল
উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা ‘আশিকি’র চিত্রনায়িকা অনু আগারওয়াল। একসময়ের শীর্ষস্থানীয় এই মডেল আশিকির পর হাতেগোনা কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন। তারপর আবার ঘুরে দাঁড়ালেও চলচ্চিত্রে ফেরেননি।
জেবা বখতিয়ার
জেবা ছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী। বলিউডের ‘হেনা’ (১৯৯১) তার অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা। তারপর ভারতে আর কাজ করা হয়নি। এতো বড় সিনেমার পরও বলিউডে কেউ জেবাকে মনেও করে না। ব্যক্তিগত জীবনও খুব সুখের ছিল না, মোট পাঁচবার বিয়ে করেছেন তিনি।
সংগীতা বিজলানি
সাবেক মিস ইন্ডিয়া (১৯৮০) সংগীতা বিজলানি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি সিনেমা করে নাম করে ছিলেন। ‘ত্রিদেব’, ‘হাতিয়ার’ ও ‘জুর্ম’ তার অভিনীত বড় সিনেমা। মডেলিংয়ে অনন্য হয়ে উঠেছিলেন বলে তাকে ‘বিজলি’ বলেও ডাকা হতো। ১৯৯৭ সালের পর আর সিনেমা করেননি।
প্রীতি ঝানগিয়ানি
প্রীতি ঝানগিয়ানি ‘মোহাব্বাতে’ (২০০০) সিনেমায় ছিলেন। ১৯৯৯ সালের মালয়ালম সিনেমা ‘মাজহাভিল্লু’তে অভিনয়ের জন্য প্রশংসীত হয়েছেন। তারপর আর আলোচনায় আসেননি। এখনো টুকটাক অভিনয় করেন, তবে উল্লেখ করার মতো নয়।
অন্তরা মালি
রাম গোপাল ভার্মার হাত ধরে অন্তরা মালি ভালোই এগিয়েছিলেন। ‘মাস্ত’, ‘কোম্পানি’, ‘রোড’ ও ‘ডরনা মানা হ্যা’ সিমেনায় কাজ করেছেন। ২০০৫ সাল থেকে একটা দীর্ঘ সময় তাকে অভিনয়ে দেখা যায়নি। তারপর ২০১০ সালে একবার ফেরেন, তারপর আবার উধাও।
আয়েশা ঝুলকা
নব্বইয়ের দশকে বেশ কয়েকটি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন আয়েশা ঝুলকা। তার অভিনীত অন্যতম প্রধান সিনেমা ‘জো জিতা বোহি সিকান্দার’। নব্বই দশকের পরে তাকে আর অভিনয়ে সক্রিয় দেখা যায়নি। এখনো মাঝেসাজে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন।