সাড়ে চার মাস ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর ৬ আগস্ট ঢাকায় ফিরেছেন ‘বেজবাবা’ সাইদুস খালেদ সুমন।
অর্থহীন ব্যান্ডের এ সঙ্গীতশিল্পী প্রথমে ব্যাংককের সামিতিবাজ হাসপাতালে এবং পরে দুবাইয়ের মেডিক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফুসফুসের সংক্রমণে দীর্ঘসময় ধরে ভুগছেন তিনি।
সুমন বলেন, “২-৩ বছর আগে একটা সার্জারির সময় এমনিতে আমার বাঁ পাশের ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। সেবার মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে আসি। এবার যখন আবার ফুসফুসের সংক্রমণ হয়ে গেল, তখন ব্যাপারটা জটিল হয়ে যায়। বলা চলে আবারও মরতে মরতে বেঁচে গেছি। আমি এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। গতকাল তাই দুবাইয়ের হাসপাতাল থেকে দেশে ফেরার ছাড়পত্র পাই।“
সুমন জানালেন, স্পাইনাল কর্ডে অস্ত্রোপচারের জন্য জার্মানি যাওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু লকডাউনের কারণে যেতে পারেননি তিনি।
“চিকিৎসকের কাছ থেকে যতটা জানতে পেরেছি, আমাকে সার্জারির জন্য আরও ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে… এবার শুধু ওষুধ খেয়ে এবং ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালাতে হয়েছে। এর মধ্যে আবারও একবার ফুসফুসের সংক্রমণ হয়েছিল। সবকিছু মিলে জটিল ছিল। তবে ভালো অনুভব করায় চলে আসছি।“
২০১১ সালে সুমনের পাকস্থলিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচার ও কেমোথেরাপির পর সুস্থ হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে ১২টি সার্জারির প্রয়োজন হয় তাঁর। ২০১৭ সালে ব্যাংককের এক সড়ক দুর্ঘটনায় সুমনের স্পাইনাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। ২০১৮ সালে অসুস্থ অবস্থায় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ‘প্রথম’ শিরোনামে একটি গান করেন।