কিংবদন্তির ১০২তম জন্মদিন

বরেণ্য শিল্পী মান্না দে’র ১০২ তম জন্মদিন আজ। উপমহাদেশের সংগীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র মান্না দে। আট বছর আগে ২০১৩ সালে পৃথিবী ছেড়ে চির তরে বিদায় নেন কিংবদন্তি মান্না দে। চলে গিয়েও বেঁচে আছেন তার অনুরাগীদের মাঝে। বেঁচে আছেন তার সৃষ্ট সংগীতের মাঝে।

মান্না দে ছিলেন গানের সম্রাট ও সুরের রাজা। তার গানে ফুটে উঠেছে মানব জীবনের নানা বৈচিত্র্যের কথা। মান্না দে তার দীর্ঘ সংগীত জীবনে প্রায় চার হাজারের অধিক গান গেয়েছেন। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ প্রায় ২৪টি ভাষায় তিনি সংগীত চর্চা করেছিলেন।

১৯১৯ সালে পহেলা মে কলকাতায় এক হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন প্রবোধ চন্দ্র। যাকে আমরা মান্না দে বলে জানি। মায়ের নাম মহামায়া এবং বাবা পূর্ণ চন্দ্র দে। বাবা এবং কাকার সান্নিধ্যে তার সংগীত চর্চা শুরু হয়ছিল তবে সংগীতের অনুপ্রেরণা ছিলেন কাকা সংগীতার্য কৃষ্ণ চন্দ্র দে। কাকা ছিলেন দক্ষ সংগীত শিক্ষক। কাকা ছাড়াও উস্তাদ দাবির খানের কাছ থেকে গানের শিক্ষা লাভ করেন তিনি।

১৯৪২ সালে কাকা কৃষ্ণ চন্দ্রের হাত ধরেই বোম্বাই (বর্তমানে মুম্বাই) বলিউড সিনেমায় পা রাখেন মান্না দে। ১৯৪৩ সালে ‘তামান্না’ সিনেমায় সংগীত শিল্পী সুরাইয়ার সাথে যুগল কণ্ঠে গান করেন। সেই গানে সুর দিয়েছিলেন কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র।

মান্না দে ১৯৫২ সালে বাংলা এবং মারাঠি ছবিতে একই নাম ও গল্পে ‘আমার ভূপালি’ গান করেন। এই গানটির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেন ব্যাপক।

মান্না দে ১৮ই ডিসেম্বর ১৯৫৩ সালে সুলোচনা কুমারণকে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি কন্যা সন্তান সুরোমা ও সুমিতা জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৬৯ সালে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার অর্জন করেন ‘মেরে হুজুর’ সিনেমার জন্য। এছাড়াও পদ্মশ্রী ও পদ্মবিভূষণ খ্যাতিও লাভ করেন।

২০১৩ সালে ২৪শে অক্টোবর ফুসফুস জনিত সমস্যায় বেঙ্গালুরুতে মৃত্যুবরণ করেন।

এমন আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ বিনোদন