গত ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় মার্কিন নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গের স্বপ্নের রোমান্টিক ড্রামা চলচ্চিত্র ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’। সোয়া দুই ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের এই চলচ্চিত্রটি রটেনটমেটোজে সমালোচকদের ভোটে ৯৩ শতাংশ ও দর্শকদের ভোটে ৯৫ শতাংশ স্কোর করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে ৪১ মিলিয়ন ডলার আয়ও করেছে। এবার স্পিলবার্গের পরবর্তী চলচ্চিত্র মুক্তির ঘোষণা এসেছে।
ছেলেবেলা থেকে ক্রমশ পরিণত হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে তিনি নির্মাণ করছেন ‘দ্য ফেইবলম্যান’। ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে ইউনিভার্সাল পিকচার্স এবং স্পিলবার্গের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অ্যাম্বলিন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম হলিউড রিপোর্টার জানায়, স্পিলবার্গের নিজের জীবনে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা এবং মা-বাবার সঙ্গে তার সম্পর্কের ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ‘দ্য ফেইবলম্যান’। চলচ্চিত্রটির নাম বা গল্প সম্পর্কিত বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে এটুকু জানা গেছে, চলচ্চিত্রে মিশেল উইলিয়ামস, সেথ রজেন, পল দানো এবং গ্যাব্রিয়েল লাবেল অভিনয় করবেন।
উইলিয়ামস অভিনয় করবেন স্পিলবার্গের মায়ের ছায়া অবলম্বনে তৈরি একটি চরিত্রে, আর বাবার জায়গায় থাকবেন দানো। সেথ রজেন অভিনয় করবেন এক চাচার ভূমিকায়। টনি কুশনারের সঙ্গে যৌথভাবে স্পিলবার্গ নিজেই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনাও করছেন তারা।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’ চলচ্চিত্রটি স্পিলবার্গ পঞ্চাশের দশকের এক মিউজিক্যাল অবলম্বনে নির্মাণ করেছেন। এর গল্পে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপার ওয়েস্ট সাইড এলাকায় ভিন্ন জাতিসত্ত্বার দুই স্ট্রিট গ্যাং মুখোমুখি হয়। আর এরই মাঝে প্রতিপক্ষ দুই তরুণ-তরুণী নিউ ইয়র্ক শহরকে ভালোবেসে ফেলে।
চলচ্চিত্রে রেচেল জ়েলগার, অ্যানসেল এলগর্ট, আরিয়ানা ডিবোস, ডেভিড আলভারেজ, মাইক ফাইস্ট ও রিটা মরেনো অভিনয় করেছেন। তবে সেন্সর সম্পর্কিত বিতর্কের কারণে চলচ্চিত্রটি মধ্যপ্রাচ্যে মুক্তি পাচ্ছে না।