‘ব্যাটম্যান’ খ্যাত ক্রিস্টিয়ান বেল হলিউডের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেতা। অভিনয় শিল্পীরা অনেক সময় বাস্তব জীবনের চরিত্রের গভীরে ডুব দিয়ে পর্দায় সেই চরিত্রটিকে জীবন্ত করে তোলার চেষ্টা করেন। আর এই কাজে বেল বোধ হয় সবার থেকে একধাপ এগিয়ে।
অভিনয়ের জন্যে—বিশেষ করে চরিত্রের প্রয়োজনে কখনো তিনি ওজন কমিয়ে নিয়ে গেছেন ৫৫ কেজিতে, আবার কখনো ওজন বাড়িয়েছেন ১০০ কেজির ওপরে। শরীর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা তার চলতে থাকে। যেমন খুশি তেমন শরীর বানানোর ক্ষেত্রে বেল অদ্বিতীয়।
বিনোদনভিত্তিক সংবাদের ওয়েবসাইট স্ক্রিন র্যান্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আমেরিকান সাইকো’ সিনেমার জন্য তাকে ওজন বাড়াতে হয়েছিল ৮১ কেজি পর্যন্ত। ২০০৩ সালে ট্রেভর রেজনিক চরিত্রের জন্য সেই ওজন কমিয়ে নিতে হয়েছে ৫৫ কেজিতে। এরপরের বছর ‘ব্যাটম্যান বিগেইনস’-এর জন্য ছয় মাসে ওজন বাড়িয়ে নিয়ে গেছেন ৮৬ কেজিতে। এভাবে আরো বেশ কয়বার তাকে ওজন বাড়াতে ও কমাতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘আমেরিকান হাসল’-এর পর তিনি ওজন আবার স্বাভাবিক করে নেন। পরের দুবছর কোনো সিনেমার জন্য সেই ওজনের তেমন তারতম্য করতে হয়নি। তবে আমেরিকার ৪৬তম ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চ্যানির চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তিনি ফের ওজন বাড়িয়েছিলেন। ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমায় তার ওজন ছিল ১০২ কেজির বেশি। তবে পরের বছর ‘ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি’ মুভির জন্যে তিনি আবার ওজন কমিয়ে ৭০ কেজিতে নিয়ে আসেন।
ক্রিস্টিয়ান বেলের একেক ছবিতে একেক ওজন :
আমেরিকান সাইকো: ৮১ কেজি
রেইন অফ ফায়ার: ৮৩ কেজি
দ্য মেশিনিস্ট: ৫৫ কেজি
ব্যাটম্যান বিগেইনস: ৮৬ কেজি
রেসকিউ ডন: ৬১ কেজি
দ্য ডার্ক নাইট: ৮৬ কেজি
দ্য ফাইটার: ৬৬ কেজি
দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস: ৯০ কেজি
আউট অফ দ্য ফার্নেস: ৬৬ কেজি
আমেরিকান হাসল: ১০৩ কেজি
ভাইস: ১০২ কেজি
ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি: ৭০ কেজি
ব্রিটিশ এই অভিনেতার কাজে অবাক দর্শকেররা। সিনেমাগুলোর প্রত্যেকটি চরিত্রেই তার অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন দর্শক ও সমালোচকেরা। সমালোচকেরা বলেন, বেলের অভিনয়ের ধরণই ভিন্ন।